Taliban Rules For Women: শিক্ষার পর কোপ কর্মক্ষেত্রেও, মহিলারা যেতে পারবেন না অফিসেও, নির্দেশ তালিবানের
Afghanistan: অর্থনীতি মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেন, ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী মহিলাদের যে পোশাকবিধি জারি করা হয়েছে, তা অনুসরণ করে চলছেন না আফগান মহিলারা।
কাবুল: সময় বদলালেও, বদলায়নি তালিবানের চিন্তাধারা। আফগানিস্তান দখলের পরই তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আধুনিক সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শরিয়া আইন প্রণয়ন করা হবে। কিন্তু সেটা যে মুখের কথা, তার প্রমাণ মিলছে বারংবার। সম্প্রতিই আফগানিস্তানের মহিলাদের উচ্চশিক্ষার অধিকার কেড়ে নেয় তালিবান শাসক। এই ফতোয়াকে ঘিরে বিতর্কের মাঝেই এল নতুন আরেক নির্দেশ। সমস্ত স্থানীয় ও বিদেশি বেসরকারি অলাভজনক সংস্থা যেন মহিলাদের আর কাজে না নেন। যে সমস্ত মহিলারা এনজিও-তে কাজ করেন, তাদেরও যাতে কাজে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে তালিব সরকারের তরফে।
শনিবার তালিবান শাসিত আফগানিস্তান সরকারের অর্থনীতি মন্ত্রকের তরফে চিঠি পাঠানো হয় দেশের সমস্ত অলাভজনক সংগঠনগুলিতে। সেই চিঠিতে বলা হয়, মহিলা কর্মীদের কাজে আসতে বারণ করে দিতে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি মহিলাদের কাজের অধিকার দেওয়া হবে না।
চিঠির বিবৃতি তুলেই অর্থনীতি মন্ত্রকের মুখপাত্র আবদুল রহমান হাবিব বলেন, ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী মহিলাদের যে পোশাকবিধি জারি করা হয়েছে, তা অনুসরণ করে চলছেন না আফগান মহিলারা। সেই কারণেই পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি এনজিও-এ কর্মরত মহিলাদের কাজে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই তালিবান সরকারের তরফে মহিলাদের উচ্চশিক্ষার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেই নির্দেশেও একই যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছিল, ছাত্রীরা ইসলামিক পোশাকবিধি মেনে চলছেন না। পরবর্তী নির্দেশ না আসা অবধি মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।
তালিবানের এই ঘোষণার পরই আফগানিস্তান জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কান্দাহার, খাইবার পাখতুনখাওয়া সহ একাধিক প্রদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরীক্ষা মাঝপথে ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রতিবাদ স্বরূপ। ছাত্রীরাও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের তরফেও তালিবান সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করা হয়েছে।