Sanjay Roy: ইংরেজি জানি না, বাংলায় বুঝিয়ে দিন…, আদালতের রায়ের কপি হাতে নিয়ে ঘুরছে সঞ্জয়!
Sanjay Ray: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করে যে রাজ্য হাইকোর্টে যাবে তা রায় ঘোষণার পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।
কলকাতা: গোটা জীবন কাটাতে হবে জেলেই। তিলোত্তমাকাণ্ডে সোমবার দুপুরে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের এই সাজাই শুনিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বান দাস। যদিও কেন ফাঁসি হল না সঞ্জয়ের তা নিয়ে জোর শোরগোল চলছে জনমানসে। পক্ষে-বিপক্ষে উঠে আসছে নানা মত। যদিও রাজ্য বলছে ফাঁসিই চাই। কিন্তু, নিম্ন আদালতের রায় বলছে অন্য কথা! আসলে রায়ের কপিতে কী লেখা রয়েছে, কেন তাঁকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেওয়া হল, কেন ফাঁসি দিলেন না বিচারক তা জানতে মুখিয়ে সঞ্জয় রায় নিজেও। সোমবারই তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রায়ের ইংরেজি কপি। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের সূত্র বলছে, সেই ইংরেজি কপির বাংলা তর্জমা করতে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবদার করছে সঞ্জয়।
সূত্র বলছে, রায় ঘোষণার পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সাতসকালে ঘুম থেকে উঠেই হিন্দি ও বেশ কিছু বাংলা সংবাদপত্রের পাতা ওল্টাতে শুরু করে সঞ্জয়। রায়ের কপি দেখে কেউ যদি বাংলায় বুঝিয়ে দেয় তা জানতে বারবার যান জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। ঘোরেন বন্দিদের দুয়ারেও। সূত্র বলছে, তাকে এ বিষয়ে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে জেল থেকে। জেলে আইনি সহায়তা ক্যাম্প হলে সেই সময় তার দাবি সহজেই মিটতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করে রাজ্য যে হাইকোর্টে যাবে তা রায় ঘোষণার পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই শিয়ালদহ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মামলা দায়েরের অনুমতি মিলতেই আবার রাজ্যের এই মামলা করার এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে সিবিআই। যদিও তারাও সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।