‘আমাদের কোনও ডেডলাইন নেই’, ৩১ অগস্টের পরও উদ্ধারকার্য চালাবে বাইডেন বাহিনী

তালিবানরা মূলত আমেরিকাকে লক্ষ্য করেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ৩১ অগস্টের মধ্যে যেভাবেই হোক উদ্ধারকার্য শেষ করতে হবে। নাহলে পরিণতি ভাল হবে না।

'আমাদের কোনও ডেডলাইন নেই', ৩১ অগস্টের পরও উদ্ধারকার্য চালাবে বাইডেন বাহিনী
তালিবানদের হুঁশিয়ারিকে অগ্রাহ্য করেই উদ্ধারকাজ চালাবে মার্কিন সেনা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 3:31 PM

ওয়াশিংটন: তালিবান (Taliban) হুঁশিয়ারি দিয়েছে, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে উদ্ধারকার্য শেষ না হলে ফল ভাল হবে না। কিন্তু সেই হুমকিতে একচুলও ভয় পাচ্ছে না বাইডেন বাহিনী। ওয়াশিংটন(Washington)-র তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ অগস্টের পরইও প্রয়োজনে উদ্ধারকার্য (Evacuation) চালানো হবে।

বুধবার আ জাজিরা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন (Antony Blinken) বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের কাজের কোনও ডেডলাইন বা শেষদিন নেই। যারা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতে চাইছেন, তারা সকলেই সুরক্ষিতভাবে যেতে পারবেন। আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ও বিমানবন্দর সচল থাকায় কাজে কোনও রকম বাধার সৃষ্টি হবে না।”

অ্যান্টনি ব্লিনকিন জানান, আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশগুলি তালিবানদের সঙ্গে কথা বলছে। ৩১ অগস্টের পরও যাতে উদ্ধারকার্য জারি রাখা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। তালিবানরা মার্কিন ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির নাগরিকদের সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ৩১ অগস্টের পর আফগানিস্তানে যাওয়া যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

তালিবানের দখলে রাজধানী কাবুল চলে যাওয়ার পরই একমাত্র হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই খোলা রয়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই সেই বিমানবন্দরের মাধ্যমে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, দূতাবাসের কর্মী ও আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে তালিবানরা মূলত আমেরিকাকে লক্ষ্য করেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ৩১ অগস্টের মধ্যে যেভাবেই হোক উদ্ধারকার্য শেষ করতে হবে। নাহলে পরিণতি ভাল হবে না।

আফগান নাগরিকদের উদ্দেশ্যেও বলা হয়েছে, বিদেশীদের বিমানবন্দরে যেতে দেওয়া হলেও আফগানবাসীদের ওই রাস্তা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না, বিমানবন্দরেও যেতে দেওয়া হবে না। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমিয়েছেন, তাদেরও শহরে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে তালিবান। একইসঙ্গে আশ্বাস দিয়ে বলা হয়েছে, শহরে ফিরলেও কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হবে না তাদের।

যদিও এরপরই জার্মানির তরফে তালিবানদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। জার্মান প্রতিনিধি মার্কাস পোটজ়েল টুইটারে জানান, তিনি তালিবানের ডেপুটি চিফ শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজ়াইয়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। দুই পক্ষের আলোচনার পর তালিবানের তরফে আশ্বাস দিয়ে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত আফগান নাগরিকদের কাছে বৈধ কাগজ থাকবে, তাদের আগামী ৩১ অগস্টের পর দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

জানা গিয়েছে, গত ১৫ অগস্ট থেকে এখনও অবধি প্রায় ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন পেনক্সিও ব্লিনকিনের কথার সূত্র ধরেই জানিয়েছেন, যারা ৩১ অগস্টের পর আফগানিস্তান ছাড়তে চাইছেন, তাদের জন্য বিশেষ কাউন্সিলরের সাহায্য ও বিকল্প উদ্ধারপথ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কতজন আফগানিস্তান ছেড়ে চলে আসতে চান, তার উপরই উদ্ধারকার্যের মেয়াদ নির্ভর করছে বলে জানান তিনি। আরও পড়ুন: ‘সম্মান করতে জানে না ওরা’, তালিবানি ‘প্রশিক্ষণে’র অছিলায় খাঁচাবন্দি আফগান মহিলারা