AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Algeria: ৭৩ বছরের মায়ের গর্ভে ৩৫ বছরের সন্তান! পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যেতেই…

Algeria: বিজ্ঞানে ভর করে আমরা যতই বিশ্বের রহস্যগুলি উন্মোচন করি না কেন, আজও পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যার উপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বিশেষ করে, গর্ভাবস্থা এবং সন্তানের জন্ম তো ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয় বলে মনে করেন অনেকে। এটিও সেই রকমই এক ঘটনা।

Algeria: ৭৩ বছরের মায়ের গর্ভে ৩৫ বছরের সন্তান! পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যেতেই...
প্রতীকী ছবিImage Credit: Pexels
| Updated on: Jan 09, 2024 | 8:35 AM
Share

আলজিয়ের্স: ৭৩ বছরের মায়ের গর্ভে ৩৫ বছরের সন্তান! কী মনে করছেন, ভুলভাল বকছি? আসলে প্রকৃতির খেলা সত্যিই অনন্য। অনেক সময়ই এমন সব ঘটনা ঘটে, যা আমাদের বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। বিজ্ঞানে ভর করে আমরা যতই বিশ্বের রহস্যগুলি উন্মোচন করি না কেন, আজও পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে, যার উপর আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। বিশেষ করে, গর্ভাবস্থা এবং সন্তানের জন্ম তো ঈশ্বরের ইচ্ছায় হয় বলে মনে করেন অনেকে। এটিও সেই রকমই এক ঘটনা।

ডেইলি স্টারের রিপোর্ট অনুসারে, আলজেরিয়ার এক বয়স্ক মহিলার পেটে ব্যথার সমস্যায় ভুগছিলেন। হজমের অনেক ওষুধ খেয়েও তা কমেনি। এরপর, তিনি এই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের সাহায্য চেয়েছিলেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় যা বেরিয়েছে, তার জন্য তৈরি ছিলেন না ওই মহিলা। রিপোর্ট অনুসারে, ঘটনাটি ২০১৬ সালের। পেটে ব্যথা নিয়ে যে মহিলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর বয়স সেই সময় ছিল ৭৩ বছর। তাঁর তলপেটে ব্যথা হচ্ছিল। হাসপাতালে তাঁর পেটের ইউএসজি করা হয়। দেখা যায় তাঁর পেটের ভিতর একটি শিশু রয়েছে!

আসলে, ওই ঘটনার প্রায় ৩৫ বছর আগে তিনি গর্ভধারণ করেছিলেন। ৭ মাস পর, শিশুটির আর স্বাভাবিকভাবে বিকাশ ঘটেনি। কিন্তু, ভ্রুণটি তাঁর পেটের ভিতরেই থেকে গিয়েছিল। সেই সময় শিশুটির ওজন ছিল ২ কেজি। কিন্তু, পেটের ভিতর থাকতে থাকতে, ধীরে-ধীরে ভ্রুণচি ক্যালসিফায়েড হয়ে পাথরে পরিণত হয়। এই অবস্থাকে চিকিৎসা পরিভাষায় লিথোপেডিয়ন বলে। এটা অত্যন্ত বিরল এক মেডিক্যাল অবস্থা। সারা বিশ্বের চিকিৎসা ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩০০টির মতো এমন ঘটনা দেখা গিয়েছে। তবে, পেটে ভ্রুণটি পাথর হয়ে যাওয়ায়, প্রাণ বেঁচেছে ওই মহিলার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, না-হলে ওই মহিলার পেটে সংক্রমণ হতে পারত। তবে, আশ্চর্যের বিষয় হল, গর্ভে পাথর হয়ে যাওয়া সন্তানের কারণে এতদিন ওই মহিলার কোনও সমস্যা হয়নি। পেটে কোনও ফোলাভাবও ছিল না।