Turkey-Syria Earthquake: ৭২ ঘণ্টা পার হতেই নিভে আসছে আশার আলো, ২০ হাজার পার তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা
Turkey-Syria Earthquake: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।
ইস্তানবুল: সোমবারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক-সিরিয়া(Turkey & Syria)। ভোররাতে ভূমিকম্প হওয়ায় অধিকাংশ মানুষই তখন ঘুমাচ্ছিলেন। ভূমিকম্পে ঘুম ভাঙলেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার আর সুযোগ পাননি তারা। ভেঙে পড়া বাড়িঘরের নীচেই চিরনিদ্রায় চলে গিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। যারা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছিলেন, তাদের বাঁচার আলোও ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে। কারণ ভূমিকম্পের পরে ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। আহত অবস্থায় এতক্ষণ জল, খাবার ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবেন, এমন আশা প্রায় ছেড়েই দিচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা (Rescue Team)। তবে তাই বলে থামানো হচ্ছে না উদ্ধারকাজ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়া মিলিয়ে এখনও অবধি ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে পাঠানো ত্রাণসামগ্রীর প্রথম অংশ সিরিয়ায় পৌঁছয়।
বিগত চারদিন ধরেই উদ্ধারকাজ চললেও, প্রবল ঠান্ডা ও বৃষ্টিপাত উদ্ধারকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্প থেকে যাদের প্রাণরক্ষা পেয়েছে, তারাও বর্তমানে খোলা আকাশের নীচে পেটের খিদে ও চরম ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে খাবার তো দূর, পানীয় জলটুকুও পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ভেঙে পড়া বাড়িঘর, ফাটল ধরা রাস্তাঘাট পার করে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছনোর ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছেন অনেকে। হাসপাতালগুলির বাইরেও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বডি ব্যাগ, যা ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ও বিপুল মৃতের সংখ্যারই জানান দিচ্ছে।
উদ্ধারকারী দলের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রবল ঠান্ডার জেরে একদিকে যেমন উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে উঠেছে, তেমনই ভূমিকম্পের পরে ৭২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নীচে কারোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও কমে গিয়েছে। যদি কেউ ভূমিকম্পের পরে বেঁচেও থাকেন, এত ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নীচে বিনা খাবার-জলে বেঁচে থাকা কার্যত অসম্ভব।