Turkey-Syria Earthquake: মৃত্যু ২৪ হাজারের, ১০০ ঘণ্টা পার করেও জারি উদ্ধারকাজ, শুধু সিরিয়াতেই ক্ষিদের জ্বালায় জ্বলছে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ
Turkey-Syria Earthquake:প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে এখনও অবধি ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ভূমিকম্পের কারণে শুধুমাত্র সিরিয়াতেই ৫৩ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ইস্তানবুল: ১০০ ঘণ্টা পার হয়ে গেল। এখনও উদ্ধারকাজ জারি রয়েছে তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria)। সময়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষজনদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake) তুরস্ক ও সিরিয়া মিলিয়ে কমপক্ষে ২৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ভূমিকম্পে যারা রক্ষা পেয়েছেন, তারা বর্তমানে প্রবল ঠান্ডা ও ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও উদ্ধারকারী দল পৌঁছতে পারেনি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে ভারতের তরফে পাঠানো জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)। ভারতের তরফে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ, ডায়গনস্টিক কিটও পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে পাঠানো ত্রাণও শুক্রবার সিরিয়া ও তুরস্কে পৌঁছয়।
সোমবার ভোররাতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক ও সিরিয়া, তাকে বিগত এক দশকের সবথেকে শক্তিশালী ও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প বলেই মনে করা হচ্ছে। বিপর্যয়ের ৭২ ঘণ্টা পার হতেই ধীরে ধীরে আশা ছাড়তে শুরু করেছিলেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তবে এই বিপর্যয়ের মাঝেও মিরাকেল ঘটেছে একাধিকবার। ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এখনও বেশ কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার, ভূমিকম্পের ৯০ ঘণ্টা পরে সামানডাগ জেলার হাতায় প্রদেশের একটি জায়গায় ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে ১০ বছরের এক কিশোর সহ বেশ কয়েকজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই প্রদেশেই ভূমিকম্পের ৯৫ ঘণ্টা পরে ৭ বছরের এক কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পে এখনও অবধি ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ভূমিকম্পের কারণে শুধুমাত্র সিরিয়াতেই ৫৩ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ৮ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ চরম খাদ্যকষ্টের মধ্যে রয়েছেন। দ্রুত তাদের কাছে ত্রাণ না পৌঁছলে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তুরস্কে এত সংখ্যক বাড়িঘর ভেঙে পড়ার কারণ শুধু ভূমিকম্প নয়, বরং অপরিকল্পিত নির্মাণকাজের জন্যই তা ভেঙে পড়েছে। এমনকী, ভূমিকম্প প্রবল এলাকাগুলিতেও ব্যাঙের ছাতার মতো রিয়েল এস্টেট ব্যবসা গজিয়ে উঠেছিল। এই বিপর্যয়ের জন্য সরকারকেই দায়ী করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে তুরস্ককে নতুন করে গড়ে তুলতে আনুমানিক ৩ থেকে ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকা।