Bangladesh Report: রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টের ৬ নম্বর ‘চ্যাপ্টার’ কোনওভাবেই ছাপতে দিতে চায় না ইউনূস সরকার, কোন গোপন ‘খবর’ আছে সেখানে!
Bangladesh Report: দেশবাসীর কাছে আসল তথ্য আড়াল করতে ওই চ্যাপ্টার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন হল, কী আছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের ওই রিপোর্টের ৬ নম্বর চ্যাপ্টারে?

ঢাকা: আরও বিপাকে ইউনুস। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, তার ৬ নম্বর চ্যাপ্টার নাকি প্রকাশ করতে চাইছে না বাংলাদেশের সরকার। উঠেছে ভয়াবহ অভিযোগ। সেখানে বলা হয়েছে, মিডিয়াকে ‘ব্ল্যাকআউট’ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রেস উইং। কোনও সংবাদমাধ্যমে এই রিপোর্ট যাতে প্রকাশ করা না হয় তার জন্য, নাকি কঠোর নির্দেশ দিয়েছে ইউনূস সরকার। রিপোর্টের ২২০ নম্বর পয়েন্টে এক নারীর ধর্ষণের করুণ কাহিনী উল্লেখ করা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ, দেশবাসীর কাছে আসল তথ্য আড়াল করতে ওই চ্যাপ্টার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে নিষেধ করেছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন হল, কী আছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের ওই রিপোর্টের ৬ নম্বর চ্যাপ্টারে?
সেখানে বলা হয়েছে, ৫ অগস্ট সাভার পুলিশ স্টেশনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ গুলি চালিয়ে কোনও ক্রমে প্রাণরক্ষা করে। এমনকী একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয় তারা। ওইদিনই একটি স্টেশনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়। স্টেশনটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দুজন র্যাব সদস্য, চারজন আনসার/ভিডিপি ও পুলিশকর্মী নিহত হন। নিহতদের প্রকাশ্য়ে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।
রিপোর্টের এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, অগস্ট মাসে এক মহিলাকে দুই ব্যক্তি আটক করে। পুরুষরা তাঁর উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করে, অপমান করে, পোশাক ধরে টানে, তার মুখে বারবার থাপ্পড় মারে এবং বুকে ঘুষি মারে। কয়েক দিনপর ওই মহিলার ওপর দ্বিতীয়বার আরও গুরুতর আক্রমণ করা হয়। তাঁকে ঘিরে ধরে পোশাক ছিঁড়ে ফেলা হয়, তাঁর স্তন এবং গোপনাঙ্গ স্পর্শ করা হয় ও ধর্ষণ করা হয়। এমনকী কোনও হাসপাতাল তাঁর চিকিৎসা করেনি বলেও অভিযোগ ওই রিপোর্টে।





