Bangladesh: ডাকাতির টাকায় বউয়ের জন্য তিনতলা বাড়ি!
Bangladesh robber makes 3-story house for wife: ১৩ বছর ধরে ডাকাতির করছে হাসান। গাজীপুরে স্ত্রীয়ের জন্য তৈরি করেছে একটি তিনতলা বাড়ি।
ঢাকা: গায়ে থাকত সাদা রঙের পাঞ্জাবি, মাথায় কালো টুপি, হাতে একটি ব্যাগ। সামান্য খুঁড়িয়ে ঢুকত সোনার দোকানে। তার সঙ্গে আরও জনা চারেক। এরপরই, ব্যাগ থেকে একটি পিস্তল বের করে দোকানের মালিকের মাথায় ঠেকাত ওই খুঁড়িয়ে হাঁটা ব্যক্তি। দলের অন্যরা সেই সময় সোনার গয়না ব্যাগে ভরত। ডাকাতি শেষে বোমা ফাটাতে ফাটাতে চম্পট। এই একই কায়দায় একের পর এক ডাকাতি চলছিল ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। এই ডাকাতির তদন্তে নেমে পুলিশ খোঁজ পেয়েছে একটি তিনতলা বাড়ির। ডাকাতির টাকায় সেই বাড়ি তৈরি করে বউকে উপহার দিয়েছিল ডাকাত দলটির সর্দার।
সম্প্রতি ঢাকার খিলগাঁও এলাকায় উপরের কায়দায় ডাকাতি হয়েছিল। গত অগস্টে একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছিল দক্ষিণ ঢাকার এক সোনার দোকানে। তার এক মাস আগে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকাতেও একই কায়দায় ডাকাতি হয়। তার আগে মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ঝলকাঠি-সহ বিভিন্ন জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক সোনার দোকানে একইভাবে ডাকাতি হয়েছিল। এই ডাকাতিগুলির তদন্তে নেমে এক ডাকাতি চক্রের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। আটক করা হয়েছে ডাকাত দলটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে।
পুলিশ জানিয়েছে, দলের সর্দারের নাম হাসান জমাদ্দার। তার বাড়ি বরিশালের রূপারজোর এলাকায়। গত ১৩ বছর ধরে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত সে। বিভিন্ন জেলা মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৪টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। বাংলাদেশে ডাকাতি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে সে ভারতে পালিয়ে যায় বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভারতে আধার কার্ডও করিয়েছে সে। ভারত থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সে তার দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। সে ভারতে থাকলেও, বাংলাদেশের গাজীপুরে ডাকাতির টাকায় স্ত্রীয়ের জন্য একটি তিনতলা বাড়ি তৈরি করেছে সে।
এর আগে ২০১২ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল হাসান জমাদ্দারকে। তারপর ২০১৪ সালে পুলিশের সঙ্গে এক সংঘর্ষের সময় তার পায়ে গুলি লেগেছিল। সেই কারণেই সে এখটু খুঁড়িয়ে হাঁটে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন সে পুলিশের নজর এড়িয়ে ছিল। তবে, এইবার ফের ধরা পড়ে গেল হাসান।