Death Sentence: মা’কে হত্যা করে দেহ ৫ টুকরো, ছেলে সহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

যে মা সন্তান জন্ম দিলেন, সেই সন্তান কী ভাবে মাকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো-টুকরো করল! এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা বলে দাবি আইনজীবীর।

Death Sentence: মা'কে হত্যা করে দেহ ৫ টুকরো, ছেলে সহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। প্রতীকি ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2023 | 7:46 PM

ঢাকা: পারিবারিক বিবাদের জের। মায়ের মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর দেহ টুকরো-টুকরো করতেও হাত কাঁপেনি ছেলের। মাকে হত্যা করার পর কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মায়ের দেহ নৃশংসভাবে দেহ ৫ টুকরো করে সেগুলি জমিতে ফেলে দিল ছেলে। তারপর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে থানায় অন্য দুজনের নামে মামলাও করে ছেলে। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশি তদন্তে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর নারকীয় এই ঘটনায় ওই ছেলে সহ দোষী সাব্যস্ত আরও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল বাংলাদেশের একটি আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও ধার্য করেছে।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম নুরজাহান বেগম (৫৭)। নোয়াখালির সুবর্ণচরের চরজব্বর ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরজাহানকে হত্যা করে দেহ টুকরো-টুকরো করার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তাঁর ছেলে হুমায়ুন কবীর হুমু সহ আরও ৬ জন। তারা হল, নীরব, নূর ইসলাম, কালাম, সুমন, হামিদ ও ইসমাইল। হুমু সহ সকলেরই বয়স ২৮ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। মঙ্গলবার নোয়াখালির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা এদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বালিশ, কোদাল ও নিহতের কাপড়ও উদ্ধার হয়েছে।

একসঙ্গে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি গুলজার আহমেদ জুয়েল। ঘটনাটিকে ‘নজরিবিহীন’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “যে মা সন্তান জন্ম দিলেন, সেই সন্তান কী ভাবে মাকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো-টুকরো করল! এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট।” উচ্চ আদালতেও এই রায় বহাল থাকবে বলে আশাবাদী তিনি।

আদালত সূত্রে খবর, নুরজাহান বেগমকে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালে। ওই বছরের ৭ অক্টোবর বিকালে গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নুরজাহানের মাথা সহ দেহের দু-টুকরো পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরদিন সকালে আবার ওই ক্ষেত থেকেই আরও তিনটি টুকরো উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে যায় গোটা গ্রামে। কে, কেন নুরজাহানকে হত্যা করে এভাবে দেহ টুকরো-টুকরো করল, সে ব্যাপারে কেউই কিছু বুঝতে পারেননি। এরপর নুরজাহানের ছেলে হুমু থানায় গিয়ে মায়ের খুনের একটি মামলা দায়ের করে। তদন্তে নেমে পুলিশ দুই সন্দেহভাজন নীরব ও কসাইকে গ্রেফতার করে। তারপর তাদের জেরা করে এই ঘটনায় হুমুর নাম উঠে আসে। এরপর পুলিশ হুমুকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে হুমু। এরপর এই ঘটনায় জড়িত হুমু সহ ৭ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সকলে মিলেই এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড করেছিল বলে আদালতে প্রমাণিত হয় এবং সকলকে দোষী সাব্যস্ত করার পর এদিন তাদের সাজা ঘোষণা করল নোয়াখালির আদালত।