Bangladesh Hilsa: বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে রইল ১০ লক্ষ টাকার ‘রত্ন’! পালাল পাচারকারীরা
Bangladesh Hilsa: বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে চালান করা হচ্ছিল ১০ টাকার বেশি মূল্যের 'রত্ন'! কিন্তু, সতর্ক ছিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তাদের তাড়া খেয়ে ওই বিপুল সম্পদ সীমান্তবর্তী এলাকায় ফেলেই পালাল পাচারকারীরা। ইলিশ রফতানিতে সরকারি অনুমোদন না থাকায়, বাড়ছে পাচারের প্রবণতা।
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে চোরা পথে ভারতে চালান করা হচ্ছিল ১০ টাকার বেশি মূল্যের ‘রত্ন’! কিন্তু, সতর্ক ছিল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তাদের তাড়া খেয়ে ওই বিপুল সম্পদ সীমান্তবর্তী এলাকায় ফেলেই পালাল পাচারকারীরা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দাবি করেছে, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার উত্তর আনন্দপুর এলাকায়, সীমান্তের ১০০ গজের মধ্যে অন্তত ৬৫০ কেজি ইলিশ মাছ বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। ভারতে ওই মাছগুলি প্রতি কেজি আনুমানিক ১,৬০০ টাকা করে বিক্রি হয়। ফলে বাজেয়াপ্ত মাছের মোট মূল্য প্রায় ১,০২৫,৬০০ টাকা বলে দাবি বিজিবি-র। বিজিবি জানিয়েছে, নিলাম করে ওই মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে সেই অর্থ জমা করা হয়েছে।
বিজিবি-র এক কর্তা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ ওই এলাকা দিয়ে ইলিশ পাচারের চেষ্টা করেছিল চোরাকারবারিরা। তবে, বিজিবির টহলদারী দল ওই এলাকায় তৎপর ছিল। তারা চোরাচালানকারীদের আটকানোর চেষ্টা করে। বিজিবি-র লোকজন এসে গিয়েছে টের পেয়ে, চোরাকারবারীরা ওই বিপুল পরিমাণ ইলিশ সেখানে ফেলেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় বলে দাবি। তবে, তারা সঙ্গে করে বেশিরভাগ মালই নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। সীমান্ত এলাকায় দুই পার থেকেই চোরাচালানকারীরা অন্য দেশে পালিয়ে যায় বলে, তাদের ধরা অসম্ভব হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এই সাম্প্রতিক ইলিশ পাচার নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
তবে, এর আগে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ ও বিজিবির পতাকা বৈঠকের সময়, পাচারের বিষয়ে দুই পক্ষই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। জানা গিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে যেমন ভারতে ইলিশ পাচারের চেষ্টা চলছে, একইভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে গবাদি পশু পাচারের চেষ্টা চলছে। প্রতি বছরই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পুজোর সময় ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হত। তবে, এই বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়ে দিয়েছে ইলিশ রফতানির অনুমোদন দেওয়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গের মৎস ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশের আবদার পাঠানো হয়েছে। তবে, সেই আবদার বাংলাদেশ মানবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্টতা নেই। এই অবস্থায় পাচারের প্রবণতা বেড়েছে।