China: চিনে কোভিডের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’? ‘হু’-এর চাপে কী বলল বেজিং?
China influenza-like illness: হু জানিয়েছে, তারা চিনের পরিস্থিতি উপর কড়া নজর রাখছে। বেজিংকে এই বিষয়ে আরও তথ্য ভাগ করার জন্য সরকারিভাবে অনুরোধ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সংস্থা। কিন্তু, চিন সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি। হু জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চিনের 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন' এবং 'বেজিং চিলড্রেনস হাসপাতাল'-এর সঙ্গে এই নয়া বিপদের বিষয়ে একটি 'টেলিকনফারেন্স' করেছে।

বেজিং: ঠিক যেন ২০১৯ সালের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’। ২০১৯-এর নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই উহান-সহ চিনে বিভিন্ন অংশে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯। ৪ বছর পর ২০২৩-এর নভেম্বরে ফের একবার চিনের উত্তর অংশে শিশুদের মধ্যে দেখা দিয়েছে এক শ্বাসকষ্টজনিত অজানা রোগ। স্বাভাবিকভাবেই মহামারির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। এই অবস্থায়, এই নয়া রোগের বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য ভাগ করার জন্য বেজিংকে চাপ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। জবাবে চিন সরকার জানিয়েছে, কোনও অস্বাভাবিক বা নতুন জীবানু পাওয়া যায়নি।
হু জানিয়েছে, তারা চিনের পরিস্থিতি উপর কড়া নজর রাখছে। বেজিংকে এই বিষয়ে আরও তথ্য ভাগ করার জন্য সরকারিভাবে অনুরোধ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের এই সংস্থা। কিন্তু, চিন সরকার এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়নি। হু জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার চিনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ এবং ‘বেজিং চিলড্রেনস হাসপাতাল’-এর সঙ্গে এই নয়া বিপদের বিষয়ে একটি ‘টেলিকনফারেন্স’ করেছে। হু-এর বিবৃতিতে অনুযায়ী, চিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনও নতুন জীবানু নয়, বরং একাধিক পরিচিত জীবানুর কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, “চিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেজিং এবং লিয়াওনিং-এ কোনও অস্বাভাবিক বা নতুন প্যাথোজেন বা অস্বাভাবিক কোনও ক্লিনিকাল উপস্থাপনা শনাক্ত করা যায়নি। বরং, একাধিক পরিচিত প্যাথোজেনের কারণেই শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। তারা আরও বলেছে, শুওধুমাত্র শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বেড়েছে বলেই, চিনের হাসপাতালগুলিতে রোগী উপচে পড়ছে, এমন ধারণা ভুল। হু পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং চিনের জাতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রাখছে। হু-এর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সময়ে-সময়ে আপডেট দেওয়া হবে।”
পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য, চিনা নাগরিকদের কিছু পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, অবিলম্বে সকলের ফ্লু, কোভিড -১৯ এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগগুলির টিকা নেওয়া উচিত। এছাড়া, যারা আক্রান্ত তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যত বেশি সম্ভব বাড়ির ভিতরে থাকতে হবে। বাইরে পের হলে মাস্ক পরতে হবে। নিয়মিত, পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া, এই মুহূর্তে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের চিনে যাওয়া এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একদিন আগেই, চিনের হাসপাতালগুলিতে ‘নিউমোনিয়ার মতো’ এক রহস্যময় রোগ ছড়িয়ে পড়ার খবর সামনে এসেছিল। জানা গিয়েছে, এই রোগ শিশুদের মধ্যেই বেশি দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদনগুলি অনুযায়ী, বিশেষ করে চিনের উত্তর অংশে এই রোগ ছড়িয়েছে। শীত বাড়তেই হাসপাতালগুলি ছেয়ে গিয়েছে এই অজানা রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড়ে। প্রধানত বেজিং এবং লিয়াওনিং প্রদেশেই এই রোগ বেশি দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানকার স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।





