QUAD: টোকিয়োর চলছে কোয়াড বৈঠক, নাকের ডগায় মহড়া চিনা-রুশ যুদ্ধবিমানের!
QUAD: টোকিয়োয় কোয়াড শীর্ষ বৈঠক চলাকালীনই মঙ্গলবার (২৪ মে), জাপানের আকাশ সীমার খুব কাছ দিয়ে যৌথ উড়ান পরিচালনা করেছে রুশ এবং চিনা যুদ্ধবিমান, এমনই দাবি করলেন জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিশি।
টোকিয়ো: কোয়াড শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে এখন জাপানের রাজধানী টোকিয়োতে রয়েছেন ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা। চার দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা যখন আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছেন, সেই সময়ই, মঙ্গলবার (২৪ মে), জাপানের আকাশ সীমার খুব কাছ দিয়ে যৌথ উড়ান পরিচালনা করেছে রুশ এবং চিনা যুদ্ধবিমান। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন জাপানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নোবুও কিশি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে, কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে মস্কো এবং বেজিং-এর কাছে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদনে নোবুও কিশিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, টোকিয়োর খুব কাছ দিয়ে উড়ে গেলেও জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি চিনা এবং রুশ যুদ্ধবিমানগুলি। কিশি বলেছেন, ‘জাপান সাগরের উপরে দুটি রুশ বোমারু বিমানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল দুটি চিনা বোমারু বিমান। তারপর তারা পূর্ব চিন সাগর পর্যন্ত যৌথ উড়ান পরিচালনা করে। এরপর, আগের দুটি চিনা বোমারু বিমানের বদলে, রুশ বোমারু বিমানদুটির সঙ্গে যোগ দেয় দুটি নতুন চিনা বোমারু বিমান। এরপর ওই চারটি বিমান পূর্ব চিন ,সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত যৌথ মহড়া পরিচালনা করে।’
শুধু তাই নয়, জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেছেন, মঙ্গলবার উত্তর হোক্কাইডো থেকে মধ্য জাপানের নোটো উপদ্বীপের দিকে উড়ে যেতে দেখা গিয়েছে একটি রুশ গোয়েন্দা তথ্য-সংগ্রহকারী বিমানকেও। জাপান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাপানের আকাশ সীমার কাছে রুশ এবং চিনা বিমানের দীর্ঘ যৌথ উড়ান যে এই প্রথম ঘটল তা নয়। ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার এই ধরনের যৌথ সামরিক অনুশীলন করল রাশিয়া-চিন। তবে টোকিয়ো-তে কোয়াড শীর্ষ বৈঠক চলাকালীন এই পদক্ষেপগুলি ‘উস্কানিমূলক’ বলে বিবৃতি দিয়েছে জাপান সরকার।
VIDEO: Chinese H-6K bombers and Russian Tu-95MS bombers conducted regular joint strategic patrols above the Sea of Japan, E.China Sea and West Pacific on Tue. The aircraft abided by intl regulations and did not violate any other country’s airspace: Russian Defense Ministry pic.twitter.com/771mVKjqW0
— Global Times (@globaltimesnews) May 24, 2022
মস্কো বা বেজিং-এর পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই যৌথ সামরিক উড়ান নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে, চিনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর পক্ষ থেকে একটি এই যৌথ সামরিক মহড়ার একটি ভিডিয়ো টুইট করা হয়েছে। টুইটটির ক্যাপশনে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, জাপান সাগরের উপর দিয়ে চিনা এইচ-৬কে বোমারু বিমান এবং রুশ টিইউ-৯৫এমএস যৌথ উড়ান পরিচালনা করেছে। এটি ‘নিয়মিত যৌথ কৌশলগত টহলদারি’ বলে দাবি করেছে তারা। সেইসঙ্গে জানানো হয়েছে, বিমানগুলি আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলেছে এবং অন্য কোনও দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেনি।
মঙ্গলবারই এক যৌথ বিবৃতিতে, বলপ্রয়োগে কোনও দেশের ‘স্ট্যাটাস কুও’ বা অবস্থা বদলের বিরুদ্ধে বার্তা দিয়েছিলেন কোয়াড-এর চার দেশের নেতারা। তাঁরা কোনও দেশের নাম করেননি। তবে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই বার্তা বিশেষ করে চিন এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্য়েই দেওয়া হয়েছে। তার আগে তাইওয়ানে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি। এর জবাবে, চিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তাইওয়ান চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে প্রস্তুত বেজিং।