Durga Puja in Bangladesh: সেনা-পুলিশে ছয়লাপ! ইউনূসের বাংলাদেশে কেমন কাটল দশমী?
Durga Puja News: এই গোটা পর্বেই কক্সবাজারের সমুদ্র তট ঘিরে ছিল ঠাসা নিরাপত্তা। সকাল থেকেই সেখানে টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ছিল পুলিশ, র্যাফ ও নৌবাহিনী। বিসর্জন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেই কথা মাথায় রেখেই মোতায়েন হয়েছিল বাড়তি বাহিনী। আর শুধুই কক্সবাজার নয়। দশমীর এই জনজোয়ার দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের নানা ঘাট ও উপকূল এলাকায়।

ঢাকা: ঘনঘন তটের উপর আছাড় খাচ্ছে বঙ্গোপসাগরের ঢেউ। তুলছে গর্জন। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি, ফলত কেউ কেউ হয়েছেন কাকভেজা। কিন্তু সেই সব উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নেমেছে কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে। দূরে ভাসান দেওয়া হচ্ছে একের পর এক দুর্গা প্রতিমা। যা ঘিরে মানুষের উত্তেজনা। কেউ আনন্দে গদগদ, কারওর চোখের কোণে সামান্য ভিজেছে। এক কথায়, এই গল্প যেন অন্য বাংলাদেশের।
উত্তেজনা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সেই সব পেরিয়ে বাংলাদেশের দুর্গোৎসব যেন কাটল একটু অন্য আমেজে। রাজনৈতিক অস্থিরতাকে সরিয়ে রেখে পড়শি দেশের একটা অংশ মাতল দুর্গোৎসবের আনন্দে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন বিকাল চারটের দিকে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের বিজয়া মঞ্চসংলগ্ন এক বর্গকিলোমিটারজুড়ে প্রতিমা ঘিরে দেখা যায় ভক্তদের আনন্দ-উল্লাস, সিঁদুরখেলা। তাতে যোগ দেয় লক্ষ লক্ষ পর্যটক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক ঘণ্টার মধ্য়ে ১২৭টি প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে বিভিন্ন ক্লাব।
প্রথম আলোকে কক্সবাজার জেলা পুজো উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শঙ্কর পাল জানিয়েছেন, ‘এই বছর জেলায় ৩২১টি মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্য়ে কক্সবাজারের সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে ১২৭টি প্রতিমা। আর বাদ বাকি প্রতিমাগুলি বিসর্জন দেওয়া হয়েছে চকরিয়ার মাতামুহুরী নদী, কুতুবদিয়া ও টেকনাফ সৈকতে।’
এই গোটা পর্বেই কক্সবাজারের সমুদ্র তট ঘিরে ছিল ঠাসা নিরাপত্তা। সকাল থেকেই সেখানে টহল দিচ্ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ছিল পুলিশ, র্যাফ ও নৌবাহিনী। বিসর্জন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেই কথা মাথায় রেখেই মোতায়েন হয়েছিল বাড়তি বাহিনী। আর শুধুই কক্সবাজার নয়। দশমীর এই জনজোয়ার দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের নানা ঘাট ও উপকূল এলাকায়। চট্টগ্রামেও ঢাকঢোল পিটিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন বাংলাদেশে হিন্দুরা।
