সলমন রুশদিকে হত্যার জন্য একসময় পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষণা করেছিলেন ইরানের নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই। তবে সব নিরাপত্তা বলয় টপকে, জগৎ বিখ্যাত সেই সাহিত্যিকের ওপর যে এবাবে প্রকাশ্যে এভাবে হামলা হবে, তা বোধ হয় কল্পনা করেননি কেউ।
২০২২-এর ১২ অগস্ট নিউ ইয়র্কের একটি সভামঞ্চে বক্তব্য পেশ করার কথা ছিল বুকারজয়ী লেখক রুশদির। সেই মঞ্চেই ঘটে যায় ভয়াবহ হামলা। ঘাতকের ছুরির কোপে দর্শকদের সামনেই লুটিয়ে পড়েন রুশদি।
রুশদিকে ঘিরে বিতর্কের অন্যতম কারণ 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'। ১৯৮৮ সালে তাঁর লেখা সেই বই নিয়ে তুমুল আপত্তি ছিল ইরানের। তবে ২০২২-এর এই ঘটনায় সরাসরি যোগ থাকার কথা অস্বীকার করেনি ইরান।
রুশদিকে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তের নাম হাজি মাটার। রুশদির শরীরে একের পর এক ছুরির কোপ বসিয়ে দেন তিনি। একটা কোপ বসে সাহিত্যিকের ডান চোখে, কোপ দেওয়া হয় গলায়, বুকে, পায়ে।
রক্তে ভেসে যাচ্ছিলেন রুশদি। হাসপাতালে ভর্তি করে তাঁকে বাঁচাতে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করতে হয় চিকিৎসকদের। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর অনুগামীরা। সুস্থ হয়ে উঠলেও এক চোখের দৃষ্টি হারান 'মিডনাইটস চিলড্রেন'-এর লেখক।
জানা যায়, 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস', যা নিয়ে এত বিতর্ক, সেই বই-এর মাত্র ২ পাতা পড়েছিলেন হাদি মাটার। তাতেই এত ক্ষোভ? নাকি অন্য কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করলেন তিনি?
মুম্বইতে বেড়ে ওঠা রুশদি পড়াশোনা করতেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। প্রথমে ব্রিটেন, পরে কেমব্রিজে পড়াশোনা করেন। ২০০০ সাল থেকে আমেরিকাতেই বাস করেন রুশদি, যিনি নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন।