Mouse Fever: গলগল করে চোখ থেকে বেরচ্ছে রক্ত! ইঁদুর জ্বরে কুপোকাত রুশ সেনা, কী এই রোগ জানেন?

Russia-Ukraine War: শীতের মরশুমে একে তো প্রবল ঠান্ডা, তুষারপাতের মধ্যেও যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে রুশ সেনাকে। তার উপরে আবার নতুন রোগ, ইঁদুর জ্বর। চিকিৎসার পরিভাষায় মাউস ফিভার নামেই পরিচিত। অতি সংক্রামক এই রোগেই আক্রান্ত হচ্ছে শয়ে শয়ে রুশ সেনা। মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ।

Mouse Fever: গলগল করে চোখ থেকে বেরচ্ছে রক্ত! ইঁদুর জ্বরে কুপোকাত রুশ সেনা, কী এই রোগ জানেন?
ইঁদুর জ্বরে কাবু রুশ সেনা।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Dec 24, 2023 | 10:35 AM

কিয়েভ: অসহ্য মাথার যন্ত্রণা। তারপরই কাঁপুনি দিয়ে আসছে জ্বর। সঙ্গে খিঁচুনি-বমি। দু-একদিনের মধ্যেই শরীর বেহাল। শুরু হচ্ছে চোখ দিয়ে রক্ত পড়াও। ভয়ঙ্কর অবস্থা। শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এখনও যুদ্ধ চালানো রুশ সেনার একটা বড় অংশ এখন এইসব উপসর্গে কাবু। অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিত্‍সা চলছে বহু সেনার। অনেককে আবার যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কেন এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি? যুদ্ধ করতে গিয়ে কেন চোখ থেকে রক্ত পড়ছে রুশ সেনাদের? ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, অনুপ্রবেশকারী রুশ ফৌজ আসলে ইঁদুর জ্বরে (Mouse Fever) আক্রান্ত। ধীরে ধীরে তা মহামারীর রূপ নিচ্ছে।

শীতের মরশুমে একে তো প্রবল ঠান্ডা, তুষারপাতের মধ্যেও যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে রুশ সেনাকে। তার উপরে আবার নতুন রোগ, ইঁদুর জ্বর। চিকিৎসার পরিভাষায় মাউস ফিভার নামেই পরিচিত। অতি সংক্রামক এই রোগেই আক্রান্ত হচ্ছে শয়ে শয়ে রুশ সেনা। মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। যদিও  রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বা তার সরকার এই মাউস ফিভার নিয়ে কোনও তথ্য জানায়নি বা রুশ সেনাদের মাউস ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার খবরও স্বীকার করে নেয়নি। রুশ সরকারের ধারণা, যুদ্ধে অংশ নিতে অনিচ্ছুক রুশ সেনারা এই জ্বরকে ‘অজুহাত’ হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের দাবি, মস্কো বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। পরবর্তী সময়ে এই সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।

কী এই মাউস ফিভার?

ইঁদুরবাহিত এই রোগ ‘অত্যন্ত ছোঁয়াচে’ হিসাবে পরিচিত। ইঁদুরের মল বা শরীরের সংস্পর্শে এলে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়।ইউক্রেনের কুপিয়ানস্কে মোতায়েন রুশ বাহিনীর বড় অংশই ইঁদুর জ্বরে আক্রান্ত বলে দাবি। এর প্রধান উপসর্গই হল প্রবল মাথাব্যথা, বমি, শরীর জুড়ে ফুসকুড়ি বেরনো। রোগের অন্যতম উপসর্গ চোখ দিয়ে রক্ত গড়ানো।

‘অত্যন্ত ছোঁয়াচে’ হিসাবে পরিচিত এই রোগ ইঁদুরবাহিত। ইঁদুরের মল বা লালার সংস্পর্শে এলে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়। বাইজান্টিয়ান সাম্রাজ্যের সম্রাট জাস্টিনিয়ানের আমলে একবার যে মহামারি ছড়িয়েছিল, তার সঙ্গে এই মাউস ফিভারের মিল আছে। শেষবার বড় আকারে এই রোগ ছড়ায় ২০১২ সালে, পূর্ব ও দক্ষিণ ইউরোপে।

ইউরোপের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট জেন মলভোও জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে আসা রুশ সেনার মধ্যে মাউস ফিভার ছড়ানো অস্বাভাবিক নয়। এই এলাকায় শীতে এই রোগের ইতিহাস আছে।

রাশিয়া এই রোগকে গুরুত্ব না দিলেও, ইঁদুর জ্বরের ধাক্কায় রুশ সেনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনের সংবাদপত্রের দাবি, রাশিয়ার সেনারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাচ্ছেন। যাঁরা পালাতে পারছেন না, তাঁরা চাকরির পরোয়া না করে বিদ্রোহ করছেন।