Truth of Bangladesh: আসল ‘সত্যি’ ফাঁস! ইউনূসের হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল বাংলাদেশেরই সংগঠন
Truth of Bangladesh: অগ্নিগর্ভ অগাস্ট থেকে নভেম্বরের নৈরাজ্য, আসল ‘সত্যি’ ফাঁস করে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিল বাংলাদেশের নিজেরই সংগঠন। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি বা HRSS। তাদের দুই মাসের পরিসংখ্যান নিয়ে চর্চা বিশ্বজুড়ে। কী বলছে সেই রিপোর্ট?
পরিস্থিতি যা তা দেখে অনেকেই বলছেন মুখ আর মুখোশের ফারাকটা ক্রমশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে। বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত, আর বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টোটা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সিলেট ডিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলার মোঙ্গলা গ্রামে। সেখানে রাতভর তাণ্ডব চালায় কট্টরপন্থীরা! শতাধিক হিন্দু বাড়ি কার্যত গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের একের পর এক দোকানে আগুন লাগানো হয়। বাদ যায়নি তাদের ধর্মস্থানও! পরে সেনাবাহিনী নামানো হলেও, যা ঘটার তা ঘটেই গিয়েছে! সেখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা সবটাই প্রশ্নের মুখে।
দুর্নাম শুধু সুনামগঞ্জে আটকে নেই। ওপার বাংলার প্রায় সর্বত্র। তারপরও বাংলাদেশ দাবি করছে তাদের দেশে যা ঘটছে তা নিয়ে নাকি অপপ্রচার চলছে। ঢাকার সেই অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে সে দেশেরই এক মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্ট। দুনিয়ার সামনে বাংলাদেশের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তুলে ধরেছে। হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি বা HRSS। দুটো মাসের পরিসংখ্যানেও যা অনেকটা স্পষ্ট। অগাস্ট মানে, যখন শেখ হাসিনাকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চাপে দেশ ছাড়তে হয়। আর গত নভেম্বর, যখন চিন্ময়প্রভুর গ্রেফতারি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। ধারাবাহিকভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। বাংলাদেশে মানবাধিকারের কী দুর্দশা তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চর্চা যেন নতুন করে গতি পায়।
অগ্নিগর্ভ অগাস্ট
রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা: ৪৯
রাজনৈতিক হিংসায় নিহত: ২২, জখম: ৫৩৭
খবর সংগ্রহে গিয়ে নিহত: ২ সাংবাদিক
হামলা: ১৫ মন্দির, ২২৮ বাড়ি, ২৪০ দোকানে
নাটোর, ঢাকা, নোয়াখালি, চাঁদপুর, দিনাজপুরে হামলা
*সূত্র: হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ
নভেম্বরে নৈরাজ্য
রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা:১০৩
রাজনৈতিক হিংসায় নিহত: ১৬, জখম: ৫৯৯
গণপিটুনির ঘটনা: ২১
গণপিটুনিতে নিহত: ১২, জখম:১৫
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনা: ১২
আক্রান্ত সাংবাদিক: ৪৬
*সূত্র: হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এলে মানবাধিকার পরিস্থিতির কয়েকটি বিষয়ে উন্নতি হলেও সার্বিক পরিস্থিতির অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। তার মানে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছে সেদেশের এক মানবাধিকার সংগঠন। এরপর আর কোন সাহসে মুখ দেখাবে ইউনূস সরকার।
রাষ্ট্রসংঘের আইন অনুযায়ী ওপারে কেয়ারটেকার যে সরকার চলছে তা ‘অবৈধ’। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সে দেশের সংবিধানের বিভিন্ন ধারাও তো বলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বৈধতা নেই। অশান্তির আবহের বাংলাদেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আর্জিও সামনে এসেছে। তা নিয়ে চর্চা চলছেই। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ‘অশান্তির’ জল কোনদিকে গড়ায়।