Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে তালিবান’

ইমরান খানের দলের সদস্যরা নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে পাক সেনার সঙ্গে তালিবানের যোগসাজশ রয়েছে

'কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে তালিবান'
ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 24, 2021 | 9:09 PM

ইসলামাবাদ: কাশ্মীর ইস্যুতে তাদের কোনও আগ্রহ নেই। এটি ভারতের একেবারেই অভ্যন্তরীণ বিষয়। কাবুলে দখল নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছিল তালিবান। বস্তুত, গোটা বিশ্বের সামনে কাশ্মীর ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান তারা স্পষ্ট করে দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান কিছুতেই শোধরানোর কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছে না। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের সদস্যরা নিজেরাই স্বীকার করে নিয়েছেন যে পাক সেনার সঙ্গে তালিবানের যোগসাজশ রয়েছে, এবং কাশ্মীর ইস্যুতে তাঁরা তালিবানের সাহায্য চান।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের এক সদস্য এই মন্তব্য করেন। পিটিআই নেত্রী নীলম ইরশাদ শেখকে বলতে শোনা যায়, তালিবান নাকি বলেছে কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানের হাত ধরবে তারা। ইরশাদ শেখের কথায়, “তালিবান আমাদের বলছে যে ওরা আমাদের সঙ্গেই রয়েছে এবং কাশ্মীরে আমাদের সাহায্য করবে।” মন্তব্যের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরে সঞ্চালক সঙ্গে সঙ্গে বলে ওঠেন, “ম্যাডাম, আপনি কি জানেন আপনি কী বলেছেন? আপনার কোনও ধারণা নেই এই মাত্র আপনি কী বলেছেন। ভুলে যাবেন না এটা বিশ্ব দেখবে, ভারত দেখবে।”

যদিও এই সতর্কবার্তার কোনও প্রভাবই পড়েনি পিটিআই নেত্রীর উপর। তিনি নির্লিপ্তভাবে বলে যান, “হ্যাঁ তালিবান আমাদের সাহায্য করবে বলেছে কারণ আমাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করা হয়নি।” পিটিআই নেত্রীর ওই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে গোটা পাকিস্তান তো বটেই, ভারতেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তবে কি পাকিস্তানের শাসকদলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাশ্মীরকেই পরবর্তী টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে তালিবান? কাশ্মীর ইস্যুতেও কি তবে তালিবানের মনে এক কথা রয়েছে এবং মুখে আরেক কথা প্রকাশ পাচ্ছে?

এই ক্ষেত্রেই অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন গত ১৭ অগস্ট তালিবানের করা সাংবাদিক বৈঠকের প্রসঙ্গ। যেখানে তালিবানি মুখপাত্রের উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয় কাশ্মীর নিয়ে তাদের অবস্থানের বিষয়ে। সেই সময় তালিবানি মুখপাত্র স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, “কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ও অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বিষয়ে আমাদের কোনও আগ্রহ নেই।” তালিবানের এই অবস্থান যে নয়া দিল্লিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও তালিবান মুখে যেটা বলে, সেটা মেনে নেওয়ার বোকামি ভারত সরকার করবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও, তালিবান নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট রাখায় সেটা কিছুটা ধীরে চলো পন্থা নিতে পেরেছিল ভারত। কিন্তু ইমরান খানের দলের নেত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য যে পুনরায় নয়া দিল্লিকে অতিরিক্ত সতর্ক হতে বাধ্য করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতায় আসার পরই জম্মু কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কয়েক যোজন মজবুত করেছে কেন্দ্র। আরও পড়ুন: কাবুলে মার্কিন নিরাপত্তা অধিকর্তার সঙ্গে তালিবানি শীর্ষ নেতার গোপন বৈঠক! কী নিয়ে আলোচনা?