Earthquake: তুরস্ক সীমান্তের মতো ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে ইস্তানবুলও, আশঙ্কাবাণী ভূতত্ত্ববিদের
ইস্তানবুলে ৭.৫ তীব্রতার ভূমিকম্প আছড়ে পড়তে পারে। সেটা হলে সমস্ত বহুতল সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়বে এবং হাজার-হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
ইস্তানবুল: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে ভয়াবহ ভূমিকম্পের রেশ এখনও কাটেনি। ১১ দিন পরেও উদ্ধারকাজ হয়ে চলেছে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে নতুন করে আতঙ্কের কথা শোনাল জাতীয় সিসমোলজি সেন্টার। এবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে তুরস্কের অন্যতম বড় শহর ইস্তানবুল। কেননা তুরস্কের অন্যতম প্রধান ফল্ট লাইনের (দুই শিলার মধ্যবর্তী স্থান) উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত এবং শহরটি ঘনবসতিপূর্ণ।
বিশিষ্ট ভূতত্ত্ববিদ মুরাট গুনের মতে, ইস্তানবুলে ৭.৫ তীব্রতার ভূমিকম্প আছড়ে পড়তে পারে। সেটা হলে সমস্ত বহুতল সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়বে এবং হাজার-হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। বর্তমানে ইস্তানবুলে ১ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের বাস। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ২ কোটি ছাড়াবে। ফলে এই শহরে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বের মতো ভূমিকম্প আছড়ে পড়লে শহরবাসীর উপর যে বড় বিপদ ঘনিয়ে আসবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সরকার এখন থেকে সতর্ক হলে এবং বাসিন্দাদের অন্যত্র নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে বলে জানান তিনি।
মুরাট গুনে জানান, ইস্তানবুলে বর্তমানে প্রায় ১১ লক্ষ ৬৬ হাজার বহুতল রয়েছে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পের আগে তৈরি। ফলে এগুলি ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসাবে গড়ে ওঠেনি। তিনি আরও জানান, বিপজ্জনক বহুতলগুলির অধিকাংশই আয়তকার এবং মাঝারি মাপের ভূমিকম্পেও এগুলি ভেঙে পড়তে পারে। ভূমিকম্প এড়াতে ইস্তানবুলে আর বাড়ি না করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে ভয়াবহ ভূমিকম্প আছড়ে পড়ে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর ৫টি ভূমিকম্প হয়। যার মধ্যে সর্বোচ্চ তীব্রতা ছিল ৭.৮। পরপর এই ভূমিকম্পের জেরে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ১১ দিন পরেও উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪১ হাজার। ভারত সহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এই দুই দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
After Turkey Tragedy, Experts Renew Alarm For Similar Quake In Istanbul