Jiban Krishna Saha: জেল থেকে বাড়ি ফিরতেই জীবনকৃষ্ণকে রাজকীয় বরণ! বিধায়ক শোনালেন ‘গর্বের’ কথা

TMC: তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা মাথা পেতে নিয়েছে। আগামী দিনে যে রায় হবে আদালতের, সেটাও মাথা পেতে নেব। আমি তদন্তে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করব। আদালত যেমন নির্দেশ দিয়েছে, আমি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক চলব। আমার বিশ্বাস আমি বিচার পাব এবং সত্যের জয় হবে।'

Jiban Krishna Saha: জেল থেকে বাড়ি ফিরতেই জীবনকৃষ্ণকে রাজকীয় বরণ! বিধায়ক শোনালেন 'গর্বের' কথা
জীবনকৃষ্ণ সাহাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 18, 2024 | 10:41 PM

মুর্শিদাবাদ: ‘সুপ্রিম’ নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। জেল-মুক্তির পর অবশেষে শনিবার বাড়ি ফিরলেন। গ্রেফতার হয়েছিলেন গত বছরের ১৭ এপ্রিল। এক বছরেরও বেশি সময় জেলে কাটিয়ে আজ ঘরে ফেরা। ঘরে ফিরলেন একেবারে রাজকীয় হালে। জেল থেকে বাড়ি ফিরতেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। বড়ঞার বিধায়কের মাথায় ধান-দূর্বা বরণ করে নিলেন তাঁরা। এক বছরেরও বেশি সময় জেল-যাপনের পর বিধায়ক বাড়ি ফিরতেই কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

তৃণমূলের কর্মীদের এই সমর্থন দেখে উচ্ছ্বসিত বিধায়কমশাই। জেল থেকে বাড়ি ফিরতেই মনের মধ্যে যেন যুদ্ধ-জয়ের তৃপ্তি। জীবনকৃষ্ণ বলেন, ‘খুব ভাল লাগছে। গর্ব করে বলতে পারি, সত্যের জয় হয়েছে। দলের কর্মী-সমর্থকরা সত্যিই খুব উৎফুল্ল হয়েছেন। আমিও তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ বোধ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তা মাথা পেতে নিয়েছে। আগামী দিনে যে রায় হবে আদালতের, সেটাও মাথা পেতে নেব। আমি তদন্তে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করব। আদালত যেমন নির্দেশ দিয়েছে, আমি আদালতের নির্দেশ মোতাবেক চলব। আমার বিশ্বাস আমি বিচার পাব এবং সত্যের জয় হবে।’

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই হানা দিয়েছিল তাঁর বাড়িতে। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযানের পর গত বছরের ১৬ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপর থেকেই জেলবন্দি ছিলেন মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। শেষে গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্ট শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে জীবনকৃষ্ণের। পরের দিন, ১৫ মে জেল-মুক্তি হয় বিধায়কের। জেল থেকে বেরোনোর পর কলকাতাতেই ছিলেন তিনি। শেষে শনিবার রাতে জেলায় ফিরলেন তিনি।