Haunted Place: ইটালির এই বাড়িতে আজও ঘোরে মুসোলিনি পরিবারের আত্মা!
Ghosts of Mussolini's Family: মুসোলিনি ও তাঁর পরিবারের লোকের ব্যবহৃত ওই বাড়িতে এখন গড়ে তোলা হয়েছে মিউজিয়াম। সেই মিউজিয়াম সাজানো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইটালির শাসক মুসোলিনির ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস দিয়ে।
রোম: ইটালির ফোরলি শহরের কারপেনা এলাকায় রয়েছে একটি বিশালাকার বাড়ি। সেই বাড়িতে থাকতেন ইটালির শাসক মুসোলিনি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। সেই বাড়ি দুদশক আগে কিনেছিলেন এক ব্যবসায়ী। সেখানে এখন রয়েছে মিউজিয়াম। সেই মিউজিয়ামে রয়েছে মুসোলিনির ব্যবহার করা বিভিন্ন জিনিসপত্র। কিন্তু ওই ওই বাড়ির বর্তমান মালিক দাবি করেছেন, সেই বাড়িতে আজও ঘুরে বেড়ায় মুসোলিনি পরিবারের আত্মা। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ। সেখানেই একনায়ক শাসকের পরিবারের আত্মা ঘুরে বেড়ানোর দাবি সামনে এসেছে।
মুসোলিনি ও তাঁর পরিবারের লোকের ব্যবহৃত ওই বাড়িতে এখন গড়ে তোলা হয়েছে মিউজিয়াম। সেই মিউজিয়াম সাজানো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইটালির শাসক মুসোলিনির ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস দিয়ে। সিএনএন-এর প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে ওই মিউজিয়ামে মুসোলিনির ব্যবহৃত মিলিটারি ইউনিফর্ম, তাঁর প্রিয় বাইক, একটি লোহার দোলনা, একটি বেডরুমের আয়না। এ ছাড়াও মুসোলিনি ও তাঁর পরিবারের লোকের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র সাজানো রয়েছে ওই মিউজিয়ামে।
কারপেনার ওই ভিলা ২০০০ সালে কিনেছিলেন ইটালির এক ব্যবসায়ী। তাঁরাই দাবি করেছেন ওই বাড়িটি ভূতুড়ে। এমনকি স্থানীয়রাও একই দাবি করেছেন। মুসোলিনির বাড়ি কেনা ইটালির ব্যবসায়ী ডোমেনিকো মোরোসিনি ও তাঁর স্ত্রী অ্যাডেলে দাবি করেছেন আপ্রাকৃত শক্তি রয়েথে ওই বাড়িতে। নিয়মিত ভাবে আত্মারা ওই বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। তাঁদের আরও দাবি, মুসোলিনি পরিবারের আত্মারা মোটেও ক্ষতিকর নয়। ওই মিউজিয়ামে আসা দর্শকের আত্মারা কোনও রকম অনিষ্ট করে না বলেও দাবি ওই ব্যবসায়ী দম্পতির। এ নিয়ে ডোমেনিকো বলেছেন, “আমার মনে হয় ওরা আমাদের সম্মান করে। আমরা তাদের ভয় পাই না। আমরাও ওই আত্মাদের বিরক্ত করতে চাই না। সে জন্যই রাতের বেলা আমরা বাড়িতে ঢুকে তাদের কোনও অসুবিধা করি না।”
ওই ব্যবসায়ী আরও জানিয়েছেন, মিউজিয়াম ছাড়াও কারপেনার ওই বাড়ি কালচারাল রিসার্চ সেন্টার। সেখানে প্রায় ৫ হাজার ঐতিহাসিক নথি রয়েছে। এবং মুসোলিনির রাজত্বকালের দুষ্প্রাপ্য কিছু ম্যাগাজিনও রয়েছে।