Magnus Carlsen: ধুর আর খেলবই না… আচমকা কেন টুর্নামেন্ট ছেড়েই চলে গেলেন বিশ্বের এক নম্বর ‘বুদ্ধিমান’?
Magnus Carlsen: ফিডের নিয়ম হল আপনি ক্যাজুয়াল পোশাকে খেলতে পারবেন না। র্যাপিডে প্রথম আট রাউন্ডে কার্লসেনের পয়েন্ট ছিল পাঁচ। ন-নম্বর রাউন্ডে তিনি জিনস পরে বোর্ডে চলে যান। আরবিটর কার্লসেনকে ট্রাউজার বদলাতে বলেন, সঙ্গে ২০০ ডলার ফাইন করেন। কার্লসেন কোনওটাতেই রাজি হননি। ফলে তাঁকে বোর্ডে বসতে দেওয়া হয়নি।
পোশাক নিয়ে নানা সময়ে নানা বিতর্কের কথা আমরা শুনেছি। কিন্তু, দাবার মতো একটা খেলায় ড্রেস কোড নিয়ে বিতর্কে, বিশ্বের এক নম্বর প্লেয়ার টুর্নামেন্ট ছেড়েই বেড়িয়ে যাচ্ছেন! এমনটা আগে শোনা যায়নি। ম্যাগনাস কার্লসেনের ঘটনা অনেকগুলি প্রশ্নও তুলে দিয়েছে। নিউইয়র্কে চলছে ওয়ার্ল্ড র্যাপিড অ্যান্ড ব্লিত্জ চেস চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথমে ১৫ মিনিটে র্যাপিড টুর্নামেন্ট। তারপর ৩ মিনিটের ব্লিত্জ গেম। গতবার দুই বিভাগেই চ্যাম্পিয়ন হন ম্যাগনাস কার্লসেন। এবার দাবার ক্লাসিক্যাল ফরম্যাটে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন গুকেশ, এই টুর্নামেন্টে কার্লসেনকে টেক্কা দিয়ে জিততে পারে কিনা এনিয়ে ভারতীয়দের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে বিশ্বের এক নম্বর প্লেয়ার মাঝপথেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ায় সে আকর্ষণ আর রইল না।
ফিডের নিয়ম হল আপনি ক্যাজুয়াল পোশাকে খেলতে পারবেন না। র্যাপিডে প্রথম আট রাউন্ডে কার্লসেনের পয়েন্ট ছিল পাঁচ। ন-নম্বর রাউন্ডে তিনি জিনস পরে বোর্ডে চলে যান। আরবিটর কার্লসেনকে ট্রাউজার বদলাতে বলেন, সঙ্গে ২০০ ডলার ফাইন করেন। কার্লসেন কোনওটাতেই রাজি হননি। ফলে তাঁকে বোর্ডে বসতে দেওয়া হয়নি। পরে ম্যাগনাস জানান এই টুর্নামেন্টেই আর তিনি খেলবেন না। বিশ্বচ্যাম্পিয়নের টাইটেল ধরে রাখার চেষ্টাও করবেন না। পরে, ইন্টারভিউয়ে কার্লসেন বলেন, তিনি আরবিটারকে বলেছিলেন পরের দিন থেকে আর জিন্স পরে আসবেন না। কিন্তু, তখনই তাঁকে ট্রাউজার বদল করতে বলা হয়। এতে তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। তাই গোটা টুর্নামেন্টেই আর না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই খবরটিও পড়ুন
অন্যদিকে ফিডে বলছে এ টুর্নামেন্টেই রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়ান নেপোনিয়াচিকে খেলার আগে স্পোর্টস শ্যু চেঞ্জ করতে হয়েছে। ক্যাজুয়াল পরে যে খেলা যায় না, তা সবাই জানেন। কার্লসেন বিশ্বের সেরা প্লেয়ার হতে পারেন, কিন্তু নিয়ম সবার জন্য এক। এই নিয়েই এখন তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেউ বলছেন, এসব পোশাক-বিধি সেকেলে, উদ্ভট ও হাস্যকর। অন্যরা আবার মত দিচ্ছেন, ফিডে শিরদাঁড়া সোজা রেখেছে। স্পনসরের চাপের কথা না ভেবেই তারা কার্লসেনকে স্পেয়ার করেনি।