Slapping Therapy: ঠাটিয়ে চড় মারলেই কমবে নাকি ডায়েবেটিস! থেরাপি নিতে গিয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার
Diabetes Treatment: এই পদ্ধতির নাম পাইদা লাজিন থেরাপি। প্রাচীন চিনে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হত যেখানে রোগীকে চড় মারা হত বা রোগী নিজেই নিজেকে বারবার চড় মারতেন রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করার জন্য। হংচি শিয়াও নামক এক ব্যক্তি পাইলালা ইন্সটিটিউট নামক একটি প্রতিষ্ঠানও তৈরি করেন যেখানে এই স্ল্যাপিং থেরাপি চলত।
লন্ডন: মধুমেহ বা ডায়েবেটিস (Diabetes) এমনই এক রোগ, যার সম্পূর্ণ কোনও নিরাময় নেই। নানা ওষুধ, নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করে কেবল মধুমেহকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু চড় মেরে কখনও মধুমেহ কমানো যায় শুনেছেন? এমনই এক চিকিৎসা জনপ্রিয় হয়েছে এই চিকিৎসা পদ্ধতি। আর সেই চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করতে গিয়েই মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। স্ল্যাপিং থেরাপিতে (Slapping Therapy) এক বৃদ্ধার মৃত্যুর পরই ওই স্বঘোষিত বৈদ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ড্যানিয়েল কারমান নমক এক ৭১ বছর বয়সী বৃদ্ধা টাইপ-১ ডায়েবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। নানা চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তিনি, কিন্তু কোনওটিতেই নিরাময় হয়নি। শেষে জানতে পারেন এই স্ল্যাপিং থেরাপির কথা। স্বঘোষিত এক বৈদ্যকে টিভিতে বিজ্ঞাপন দিতে দেখেন যে সঠিকভাবে নিজেকে চড় মারতে পারলেই নাকি কমে যায় সুগার বা মধুমেহ।
এই পদ্ধতির নাম পাইদা লাজিন থেরাপি। প্রাচীন চিনে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হত যেখানে রোগীকে চড় মারা হত বা রোগী নিজেই নিজেকে বারবার চড় মারতেন রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করার জন্য। হংচি শিয়াও নামক এক ব্যক্তি পাইলালা ইন্সটিটিউট নামক একটি প্রতিষ্ঠানও তৈরি করেন যেখানে এই স্ল্যাপিং থেরাপি চলত। তাঁর একটি বইও আছে “হিল ইওরসেল্ফ ন্যাচরালি নাও” নামক, যেখানে এই পদ্ধতিতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন কীভাবে বাড়ানো যায় ও টক্সিন বের করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর হংচি-র এই স্ল্যাপিং থেরাপিতেই অংশ নেন সত্তোরোর্ধ্ব ড্যানিয়েল। কিন্তু সেখানেই ঘটে বিপত্তি। সপাটে দু-একবার চড় মারার পরই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এরপরই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে পগারপার হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
শেষে গত শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে বিশেষ ওয়ারেন্টে অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্রিটেনে আনা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।