Omicron Variant: ত্বকে ২১ ঘণ্টা বেঁচে থাকে ওমিক্রন! অবাক করা দাবি গবেষণায়

Omicron Variant: গবেষণায় জানা গিয়েছে, মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা অবধি বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। পাশাপাশি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে প্লাস্টিকে ৮ দিন বা ১৯২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রিন।

Omicron Variant: ত্বকে ২১ ঘণ্টা বেঁচে থাকে ওমিক্রন! অবাক করা দাবি গবেষণায়
ত্বকে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রনের ভাইরাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 4:59 PM

টোকিও: দু’বছর ধরেই করোনাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলতে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মনুষ্যজাতি। কখনও করোনার নতুন স্ট্রেন বা বাড়তি সংক্রমণ বাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে বেড়েছে মৃত্যুও। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের পর দক্ষিণ আফ্রিকাতে খোঁজ মেলে ভাইরাসের নবতম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের। ওমিক্রনের আগমনের পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে উদ্বেগ, সঙ্গে দেশে বিদেশে ওমিক্রন নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে গবেষণা। এবারের জাপানের এক সমীক্ষায় উঠে এল বেশ কিছু অবাক করা তথ্য। জাপানের কিয়োটো প্রিফেকচারাল ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিনের গবেষকদের করা সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ত্বক ও প্লাস্টিকের ওপর আল্ফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টগুলির তুলনায় অনেক দীর্ঘসময় জীবিত থাকতে পারে।

গবেষণায় জানা গিয়েছে, মানুষের ত্বকে ২১ ঘণ্টা অবধি বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। পাশাপাশি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে প্লাস্টিকে ৮ দিন বা ১৯২ ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে ওমিক্রিন। এই কারণে ওমিক্রন করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের গুলির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলেই দাবি গবেষকদের। এই গবেষণাতে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলি নিয়েও কাজ করেছেন গবেষকরা। তাতে উঠে এসেছে, করোনার আল্ফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্লাসটিকের ওপর যথাক্রমে ১৯১.৩ ঘণ্টা, ১৫৬.৬ ঘণ্টা, ৫৯.৩ ঘণ্টা এবং ১১৪ ঘণ্টা জীবিত থাকে। সেখানে ওমিক্রন ১৯৩.৪ ঘণ্টা জীবিত থাকে।

ত্বকের নমুনার ওপরও পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। তাতেও উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। দেখা গিয়েছে ত্বকের ওপর আলফ ১৯.৬ ঘণ্টা, বিটা ১৯.১ ঘণ্টা, গামা ১১ ঘণ্টা, ডেল্টা ১৬.৮ ঘণ্টা এবং ওমিক্রন ২১.১ ঘণ্টা জীবিত থাকে। গবেষণা দেখা গিয়েছে সব ভ্যারিয়েন্টের গুলির ওপর ইথানল উল্লেখযোগ্যভাবে কাজ করছে। যদিও আলফা, বিটা, ডেল্টা, এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টগুলি পরিবেশগত স্থিতিশীলতার বর্ধিত প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইথানলের প্রতিরোধের তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি দেখিয়েছে। তাই গবেষণায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ ইথানল স্যানিটাইজার তৈরির অন্যতম উপকরণ। উল্লেখ্য ওমিক্রন করোনার নবতম ভ্যারিয়েন্ট। এই ভ্যারিয়েন্টের মারণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় কম হলেও এতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখ প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মেলে।

আরও পড়ুন: India’s Daily COVID-19 Update: সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও ৩ লাখের নীচেই রইল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, চিন্তা মৃত্যুহার নিয়ে