Pakistan Blast: শহরের ব্যস্ততম সড়কে মৃত্যুমিছিল! চলতে চলতে ফেটে পড়ল বিস্ফোরক-ঠাসা গাড়ি
Pakistan Car Bombing: পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন ৩২ জনের অধিক। বালোচিস্তানের প্রদেশীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই জানা সম্ভব হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে এই সংখ্য়া বাড়তে পারে বলেই ধারণা।

কোয়েটা: বিরাট বিস্ফোরণ, মঙ্গলবার সকালে কেঁপে উঠল আধাসেনার সদর দফতর সংলগ্ন এলাকা। সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়ল আগুনের লেলিহান শিখা। শহরের ব্যস্ততম সড়কে কারা এই হামলা চালাল? আর নিরাপত্তা সে কি একেবার শিকেয় উঠেছে? পাকিস্তানের শেহবাজ সরকারের দিকে সেই প্রশ্ন ছুড়ে দিল সাধারণ মানুষ।
ঠিক কী ঘটেছে?
⚡️POWERFUL explosion ROCKS FC headquarters in Quetta, Pakistan — multiple reports
Gunfire reported and multiple fatalities pic.twitter.com/ExBz4kd2kN
— RT (@RT_com) September 30, 2025
পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশের অন্তর্গত কোয়েটা শহর। ওই প্রদেশের ‘রাজধানী শহর’ এটি। সেখানে ঘটে গেল ভয়াবহ বিপত্তি। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় (টিভি৯ বাংলা সত্যতা যাচাই করেনি) দেখা গেল, কোয়েটার একটি ব্যস্ত সড়ক দিয়ে একটি গাড়ি যাওয়ার সময় হঠাৎই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণ স্বাভাবিক নয়, প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক ছাড়া এমন কাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়, বলে দাবি প্রশাসনের। বিস্ফোরণস্থলের অদূরেই পাকিস্তানের আধাসেনা ফ্রন্টেয়ার কনস্ট্য়াবুলারির সদর দফতর।
পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন ৩২ জনের অধিক। বালোচিস্তানের প্রদেশীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা এখনও প্রাথমিক পর্যায়েই জানা সম্ভব হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে এই সংখ্য়া বাড়তে পারে বলেই ধারণা।
কারা এই হামলা চালাল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমার মতো ফেটে পড়া ওই গাড়ি বিস্ফোরকে ঠাসা ছিল বলেই প্রাথমিক অনুমান। পুলিশের ধারণা, ভয়াবহ বিস্ফোরক ছাড়া এই ধরনের বিস্ফোরণ করানো সম্ভব নয়। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে কারা করাল? এখনও পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠীর দিকেই দায় ঠেলেনি পাকিস্তানের শেহবাজ সরকার। এমনকি, কেউ দায় স্বীকারও করেনি। তবে স্বাভাবিক নিয়মেই আতসকাচের নীচে চলে এসেছে বালোচিস্তানে সংগঠিত সন্ত্রাস বাহিনীগুলি। তাদের দিকেই এখন নজর দিয়েছে সেনা-প্রশাসন। মৃতদেহ উদ্ধার করেছে প্রশাসন। আহতদের স্থানীয় সিভিল হসপিটাল কোয়েটায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরণে শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে তা দূর-দূরান্ত পর্যন্ত শোনা গিয়েছে।
