বিশ্লেষণ: ‘বাসমতি তুমি কার?’, সুগন্ধি চালের জিআই ট্যাগ নিয়েও টানাটানি পাকিস্তানের

বাসমতি চাল কার? ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই নিয়েই জোর লড়াই ভারত-পাকিস্তানের।

বিশ্লেষণ: 'বাসমতি তুমি কার?', সুগন্ধি চালের জিআই ট্যাগ নিয়েও টানাটানি পাকিস্তানের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 05, 2021 | 1:04 PM

ইসলামাবাদ: বাসমতি চাল কার? ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই নিয়েই জোর লড়াই ভারত-পাকিস্তানের। আগেই ভারত বাসমতি চালকে নিজেদের দাবি করে জাতীয় স্তরে জিআই তকমা নিয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিআই ট্যাগেরও আবেদন করেছে ভারত। পাল্টা ভারতকে চ্যালেঞ্জ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে গিয়েছে পাকিস্তানও (Pakistan)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য ভারত-পাকিস্তানের এই বাসমতি বিতর্কের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। তার আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাড়তি সুবিধা পেতে সে দেশের জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন আইন ২০২০-র মাধ্যমে বাসমতি চালের জিআই তকমা নিজেদের পক্ষে নিল পাকিস্তান।

পাকিস্তানের বক্তব্য:

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জার্নালে ভারতের বাসমতি চালের জিআই আবেদন প্রকাশিত হয় ১১ সেপ্টেম্বর। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাঙ্গেয় অঞ্চল ও হিমালয়ের পাদদেশে এই চাল উৎপন্ন হয়। তাই জাতীয় জিআই ট্যাগে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে আবেদন করেছে ভারত। কিন্তু ভারতের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে পাকিস্তান। সে দেশের ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যদি দিল্লি এই ট্যাগ পায়, তাহলে ইউরোপীয় দেশগুলিতে বাসমতি রফতানির বাজার কমবে পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও এই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। তখন পাকিস্তানের সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভারতের দাবির পাল্টা দাবি করে জিআই ট্যাগের আবেদন করে।

জাতীয় স্তরে জিআই ট্যাগ:

মঙ্গলবার পাকিস্তানের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, বাসমতি চালের জিআই তকমা পেয়েছে সে দেশ। টুইটে পাকিস্তানের ব্যবসায়িক উপদেষ্টা আব্দুল রজক দাউদ লেখেন, “জিআই আইনে পাকিস্তান বাসমতি চালের জিআই তকমা পেয়েছে। এই তকমার ফলে বাসমতি চালের আন্তর্জাতিক বাজার সুরক্ষিত হবে।” প্রসঙ্গত, ভারতে অনেক আগেই জাতীয় স্তরে বাসমতির জিআই তকমা পেয়েছে।

ঐতিহাসিক বাসমতি:

ভারত বা পাকিস্তানে বাসমতি চালের উৎপাদনের ইতিহাস বহু প্রাচীন। ২০০ বছর আগেও ব্রিটিশ শাসিত অবিভক্ত ভারতে চাষ হত বাসমতি। স্বাদ ও গন্ধের জন্য এই চাল বিশ্ব বিখ্য়াত। বর্তমানে ভারতের ৭ রাজ্য ও পাকিস্তানের গুর্জরানওয়ালা, মান্দি বাহাউদ্দিন, হাফিজাবাদ, সিয়ালকোট এবং শেইখুপুরায় এই চালের চাষ হয়। আফ্রিকা ও আমেরিকায় এই চাল উৎপাদনের চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি।

আরও পড়ুন: এইচ ভিসায় বড় সিদ্ধান্ত বাইডেনের, স্বস্তিতে অনাবাসী ভারতীয়রা

ব্যবসায় বাসমতি:

সারা বিশ্বকে বাসমতি চালের জোগান দেয় ভারত ও পাকিস্তান। গত অর্থবর্ষে পাকিস্তান ইউরোপের দেশগুলি ছাড়াও চিন ও কেনিয়াতে ৪০ লক্ষ টন বাসমতি রফতানি করেছিল। তবে ভারত রফতানির ক্ষেত্রে পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে। গত অর্থবর্ষে ভারত থেকে রফতানি হওয়া বাসমতি চালের পরিমাণ ৪৪ লক্ষ টন।