Ranil Wickremesinghe: কড়া নিরাপত্তা বলয়ে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ বিক্রমসিঙ্ঘের, হল না সরাসরি সম্প্রচার
Sri Lanka: সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন লক্ষ লক্ষ শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাড়ি অভিযান করেছিল প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী।
কলম্বো: অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করলে ছ’বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। শ্রীলঙ্কার সরকারি আধিকারিকদের মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই তিনি ঐক্যের ভিত্তিতে সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন রনিল। বুধবার সংসদীয় ভোটের মাধ্যমে ৭৩ বছর বয়সী রাজনীতিককে দেশের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, জয়ন্ত জয়সূর্য রনিলকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার সংসদে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে হয়েছিল এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। কিন্তু শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কোনও সরাসরি সম্প্রচার হয়নি। বিক্রমসিঙ্ঘে ও তাঁর স্ত্রী মৈত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেনা প্যারেডের পর সংসদ ভবনে প্রবেশ করেছিলেন সস্ত্রীক রনিল। শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা দফতরের এক শীর্ষকর্তা সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, “সরাসরি সম্প্রচার কেন বাধাপ্রাপ্ত হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
শপথ গ্রহণের সময় শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান এবং শীর্ষকর্তারা প্রথাগতভাবে নয়া প্রেসিডেন্টের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই শ্রীলঙ্কায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে। নব গঠিত মন্ত্রিসভায় ৩০ জন সদস্য থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর থেকে এই প্রথম এমন আর্থিক সংকটের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা। করোনা মহামারি এবং সরকারের ব্যর্থতার কারণে সেখানে বিদেশী মুদ্রার ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। সেই কারণে নজিরবিহীন আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। চরম দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন দেশের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ। গোটা দেশে লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও কঠিন হচ্ছে।
সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছিলেন লক্ষ লক্ষ শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাড়ি অভিযান করেছিল প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী। শেষমেশ রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন গোতাবায়া। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছিলেন। দ্বীপরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে তাঁর প্রাক্তন সহপাঠী তথা দেসের প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশ গুণবর্ধনকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে পারেন বলেই মনে করছে সেদেশের রাজনৈতিক মহল। আগামী দিনে দ্বীপরাষ্ট্রের পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।