Trump, Putin: মার্কিন আকাশপথের খুব কাছে পুতিনের ‘সুখোই’, তড়িঘড়ি ‘ফ্যালকন’ পাঠালেন ট্রাম্প
একইদিনে আলাস্কার কাছে রুশ সুখোই ও ডেনমার্কের আকাশে রহস্যজনক ড্রোন? বিচ্ছিন্ন ঘটনা নাকি পুরোটাই পুতিনের ছক? চরম সতর্ক ন্যাটো। তৈরি মার্কিন সেনাও। পুতিনের প্লেনকে তাড়াতে তড়িঘড়ি ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটে গেল এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

কলকাতা যখন দুর্গাপুজোর আনন্দে মশগুল, তখন বিশ্বের আর এক প্রান্তে যুদ্ধের দামামা! চতুর্থীর দিন-ই আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে কার্যত সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল। আলাস্কার আকাশপথের খুব কাছে রুশ যুদ্ধবিমানের ঘোরাফেরা ধরা পড়ল NORAD-এর রেডারে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রাম্পের নির্দেশে ছুটে গেল দু জোড়া সুপারসনিক এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন ফাইটার এয়ারক্রাফট ও চারটি কেসি-৩৫ ট্যাঙ্কার প্লেন। আর এই নজিরবিহীন পরিস্থিতি-ই প্রশ্ন তুলে দিল, তাহলে কি এবার ইউরোপের পাশাপাশি সরাসরি আমেরিকার সঙ্গেও যুদ্ধে জড়াবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন?
এই প্রশ্ন উঠছে কারণ সম্প্রতি পুতিনের ধারাবাহিক আগ্রাসন। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই লাগাতার ইউরোপের ঘরে নিঃশ্বাস ফেলছেন পুতিন। কখনও পোল্যান্ডের আকাশপথে ঢুকে পড়া ২৫টি রুশ ড্রোনকে গুলি করে নামানো হচ্ছে, কখনও আবার এস্টোনিয়ার মতো ছোট দেশের সীমান্তে অনুপ্রবেশে করছে রুশ মিগ যুদ্ধবিমান। ন্যাটো হুঁশিয়ারি দিয়েই রেখেছে, এভাবে পুতিনের আগ্রাসন চলতে থাকলে সংঘাত অনিবার্য। ইউরোপীয় দেশগুলিও একজোট হয়ে পাল্টা ক্রেমলিনকে বেকায়দায় ফেলতে তৈরি হচ্ছে। জার্মানি, ইটালি, রোমানিয়া, নেদারল্যান্ডের মতো দেশ ইউরোপের পূর্ব সীমান্তে বাড়তি যুদ্ধবিমান ও সেনা মোতায়েন করছে। সবমিলিয়ে সেখানেও এখন টানটান যুদ্ধের পরিস্থিতি। ইউরোপে রুশ আগ্রাসনের তীব্র সমালোচনা করে সোমবার রাষ্ট্রসংঘে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চরম বার্তা দিয়েই রেখেছেন, পুতিন বেশি বাড়াবাড়ি করলে ন্যাটো যেন গুলি করে রুশ বিমানকে ভেঙে ফেলে।

কিন্তু সেই হুঁশিয়ারিতে যে পুতিন দমেননি, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল মঙ্গলবারই। ইউরোপের পর এবার আমেরিকার আলাস্কার আকাশপথের খুব কাছে দুটি রুশ সুখোই-৩৫ ও দুটি টিই-৯৫ যুদ্ধবিমানের সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়ে আলাস্কার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের রেডার ADIZ-এ। ব্যাস! মুহূর্তের মধ্যে ট্রাম্পের নির্দেশে নোরাড-এর একটি ই-৩ আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল এয়ারক্রাফট, চারটি এফ-১৬ ও চারটি কেসি-১৩৫ ট্যাঙ্কার প্লেন ছুটে গিয়ে রুশ যুদ্ধবিমানকে তাড়া করে। নোরাডের দাবি, ন্যাটো ও আমেরিকার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন পুতিন।
ঘটনার শেষ এখানেই নয়। ডেনমার্কের ব্যস্ততম কোপেনহেগেন বিমানবন্দরের খুব কাছে অন্তত চারটি বড় আকৃতির রহস্যজনক ড্রোন দেখতে পেয়েছে পুলিশ। সেগুলিও ক্রেমলিনেরই বলে প্রাথমিক অনুমান। ড্রোনগুলি ডেনমার্কের এয়ার ট্রাফিক সিস্টেমকে বিপর্যস্ত করার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। একইদিনে আলাস্কা ও ডেনমার্কের এত কাছাকাছি রুশ যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের উপস্থিতিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসাবে দেখছে না ন্যাটো ও নোরাড। তাদের যুক্তি, এগুলি সবই পুতিনের ছক। মাত্র এক মাস আগেই পরপর দুদিন মার্কিন আকাশপথের কাছে একটি রুশ চর বিমানের উপস্থিতি টের পেয়েছি সেনা। ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে আলাস্কা থেকে মাত্র কয়েক ফুট দূরে রুশ যুদ্ধবিমান ওড়ার ভিডিও পোস্ট করে সতর্ক করেছিল নোরাড।
It took only 7 days for the military to release this footage of an unsafe encounter with a Russian jet, as taken from the inside of a @NORADCommand jet.
When encounters happen with what they label “UAP,” they hide and classify it, and make it exempt from release under #FOIA. 🤷♂️ pic.twitter.com/p5fjfGri5n
— John Greenewald, Jr. (@blackvaultcom) September 30, 2024
