Turkey Earthquake: উপগ্রহ চিত্র ধরা পড়ল তুরস্ক-সিরিয়ায় ধ্বংসলীলার ছবি
১৭ হাজারেরও বেশি জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিকম্পের জেরে। এর মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে তুরস্কেই।
ইস্তানবুল: তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তে পর পর শক্তিশালী ভূমিকম্পের জেরে ধ্বংসলীলা চলেছে ওই দুই দেশের বেশ কয়েকটি শহরে। ইতিমধ্যেই ১৭ হাজারেরও বেশি জনের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিকম্পের জেরে। এর মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি মৃত্যু হয়েছে তুরস্কেই। গত কয়েক দিন ধরে প্রায় এক লক্ষ মানুশকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ম্যাক্সার নামে এক সংস্থা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেশ কয়েকটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে। সেই সব উপগ্রহ চিত্র দেখিয়ে দিচ্ছে ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলা। উপগ্রহ চিত্রতে রয়েছে তুরস্কের ওই সব এলাকার ভূমিকম্পের আগের। ভূমিকম্পের পরের ছবিও রয়েছে। তাতেই ফুটে উঠছে ধ্বংস লীলা।
তুরস্কের দক্ষিণাংশে সিরিয়া সীমান্তে ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে সবথেকে বেশি। সে দেশের গাজিয়ানটেপ এলাকার অবস্থা সবথেকে খারাপ। আন্তাকা, কাহরামানমারাসের মতো শহর পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ বহুতল ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে চাপা পড়ে মৃত হয়েছে অধিকাংশের। গৃহহীন হয়ে সেখানকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণশিবিরে।
রিখটার স্কেলে ৭.৮ তীব্রতার প্রথম ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল গাজিয়াটেপের কাছে। তুরস্কের এই শহরে ২০ লক্ষ মানুষের বাস। ভূমিকম্পের পরে একাধিক ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে এই শহরে। ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলায় প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে এই শহরে।
কাহরামানমারাস ও গাজিয়াটেরে ধ্বংললীলা সবথেকে বেশি। সেখানকার প্রায় তিন হাজার বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বাড়ির পাশাপাশি হাসপাতাল, মসজিও ভেঙে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের জেরে প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিপর্যস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছে সাহয্য। প্রায় ৭৭টি দেশ সিরিয়া এবং তুরস্কে মেডিক্যাল টিম, ত্রাণ, উদ্ধারকারী দল পাঠিয়ে সহায়তা করেছে। ভারতের তরফ থেকেও পাঠানো হয়েছে সাহায্য।