Titanic: অতলান্তিকের নীচ থেকে দুম-দুম ধাক্কার শব্দ, তাহলে কি পাওয়া গেল নিখোঁজ ডুবোজাহাজ?

Titanic submarine search: নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন উদ্ধারকারীরা। সোনার রাডারে ধরা পড়ল ধাক্কা মারার শব্দ। এটাই প্রাণের স্পন্দন বলে মনে করছেন তাঁরা।

Titanic: অতলান্তিকের নীচ থেকে দুম-দুম ধাক্কার শব্দ, তাহলে কি পাওয়া গেল নিখোঁজ ডুবোজাহাজ?
এই ডুবোজাহাজের সন্ধানেই চলছে অভিযান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2023 | 1:21 PM

ওয়াশিংটন: অতলান্তিকের অতল থেকে আসছে দুম-দুম করে ধাক্কা মারার শব্দ। যেন কেউ সাহায্য চাইছে। ৩০ মিনিটের ব্যবধানে ওই ধাক্কার শব্দ শোনা যাচ্ছে। আর এই শব্দই নতুন করে আশা জাগিয়েছে উদ্ধারকারীদের মনে। এই শব্দ ‘প্রাণের স্পন্দন’ বলে মনে করছেন তাঁরা। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে গত রবিবার যে ডুবোজাগাজটি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে, তার যাত্রীরা বেঁচে থাকলেও থাকতে পারেন। সম্ভবত তাঁরাই সাহায্যের জন্য সঙ্কেত পাঠাচ্ছেন। জলের নীচে শব্দ শোনা যায় না। তবে ওই দুম-দুম ধাক্কার শব্দ তরঙ্গ ধরা পড়েছে কানাডার এক বিমানের ‘সোনার রাডারে’। ঠিক যে এলাকায় ডুবোজাহাজটি হারিয়ে গিয়েছে, সেই জায়গাতেই এই শব্দ শনাক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশদ কিছু জানানো হয়নি। তবে, এটা যে উদ্ধারকারীদের মনে নতুন আশার ঝলক সৃষ্টি করেছে, তা বলাই বাহুল্য। তবে, এখন তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা চলছে সময়ের। কারণ, ডুবোজাহাজটিতে মাত্র ৯৬ ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন ছিল। আর, জলের নীচে তার ডুব দেওয়ার পর প্রায় ৩ দিন কেটে গিয়েছে।

এর আগেই ডুবোজাহাজটির সন্ধানে আন্ডারওয়াটার ড্রোন নামানো হয়েছিল। এখন জলের নীচ থেকে এই শব্দ শুনতে পাওয়ার পর, ফের ড্রোনগুলিকে জলে নামানো হচ্ছে। যে জায়গায় থেকে ওই শব্দ শনাক্ত করা হয়েছে, সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা কানাডার ওই বিমানের তথ্য বিশ্লেষণ করছেন। উপকূলরক্ষী বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “কানাডার একটি পি-৩ বিমান অনুসন্ধান এলাকায় জলের নীচে একটা শব্দ শনাক্ত করেছে। ওই শব্দের উত্স খুঁজতে সেখানে ‘আরওভি’গুলি পাঠানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আরওভিগুলির অনুসন্ধানে কোনও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়নি, তবে অভিযান এখনও চলছে। এছাড়া, পি-৩ বিমানের তথ্যগুলি পাঠানো হয়েছে মার্কিন নৌবাহিনীর কাছে। নৌবাহিনীর বিশ্লেষকরা, সেই সব তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এর ভিত্তিতেই পরবর্তী অনুসন্ধান পরিকল্পনা করা হবে।”

রবিবার কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূলের সেন্ট জোন্স এলাকা থেকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ৫ পর্যটক। ওশানডেট এক্সপেডিশনস-এর পরিচালনায় এই অভিযানে প্রথমে একটি ভেসেল নিয়ে ৩৭০ মাইল দক্ষিণে যাত্রা করেছিলেন তাঁরা। তারপর, উপযুক্ত জায়গা বুঝে টাইটান নামে একটি ডুবোজাহাজে করে সমুদ্রের ১৩,০০০ ফুট নীচে ডুব দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু দুই ঘণ্টা পরই মূল জলযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল ডুবোজাহাজটির। তারপর থেকে আর তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। শুরু হয়, ডুবোজাহাজটিকে খুঁজে পার করার প্রচেষ্টা। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখা যায়নি। বুধবার সকালে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সম্ভবত আর মাত্র ৪০ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে ডুবোজাহাজটিতে। কাজেই হাতে সময় বড় কম।