Drone Attack: ড্রোনের মাধ্যমে বোমা ফেলার ছক? আলিবাবা ড্রোন নিয়ে জল্পনা ইউক্রেনে
Ukraine: ইউক্রেনের পূর্বদিকের অংশে স্লোভিয়াস্ক শহরের কাছে এই ড্রোন দেখা গিয়েছিল বলে ইউক্রেন সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ড্রোনের মধ্যে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক মজুত ছিল।
কিয়েভ: ড্রোনের মাধ্যমে বোমা হামলার ঘটনা ব্যর্থ করল ইউক্রেন সেনা। রবিবার একটি ড্রোনকে একে-৪৭ বন্দুকের সাহায্যে গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। সেই ড্রোনে করে বোমা ভর্তি ছিল বলে জানা গিয়েছে। মাগিন-৫ নামের সেই ড্রোন চিনে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। চিনের জিয়ামেনে অবস্থিত মাগিন লিমিটেড নামের এক সংস্থা এই ধরনের ড্রোন তৈরি করে বলে জানা গিয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে বোমা হামলার ঘটনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কী ভাবে জন সাধারণের ব্যবহৃত ড্রোন যুদ্ধের কাজে লাগানো হচ্ছে, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। ইউক্রেনে ব্যবহৃত এই ড্রোন ‘আলিবাবা ড্রোন’ নামেও পরিচিত বলে জানা গিয়েছে। যদিও ওই ড্রোন প্রস্তুতকারক সংস্থা ড্রোনের মাধ্যমে বোমা বহনের বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলেছে।
ইউক্রেনের পূর্বদিকের অংশে স্লোভিয়াস্ক শহরের কাছে এই ড্রোন দেখা গিয়েছিল বলে ইউক্রেন সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ড্রোনের মধ্যে প্রায় ২০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে ইউক্রেন সেনা ওই বোমা নির্জন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইউক্রেন সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার রাতে একটি ড্রোনে আকাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেন ইউক্রেন সেনার ১১১ ব্রিগেডের জওয়ানরা। অন্ধকারে বিভিন্ন দিকে আলো মারছিল সেই ড্রোন। তা দেখেই একে-৪৭ থেকে গুলি করে নামানো হয় ড্রোনটিকে। তার পরই তার মধ্যে থেকে বোমা পাওয়া গিয়েছে।
যদিও ওই ড্রোনে কোনও ক্যামেরা ছিল না বলে জানা গিয়েছে। তা থেকে একটি জিনিস পরিষ্কার, যে নজরদারির জন্য এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়নি। যুদ্ধে এই ধরনের ড্রোনের ব্যবহারে অবাক বিশেষজ্ঞরাও। এ বিষয়ে ক্রিশ লিনকন জোনস নামের এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এই ড্রোনে ক্যামেরা নেই। তাই নজরদারি চালানোর জন্য ড্রোনটি ব্যবহৃত হয়নি। ডাম্ব বম্ব হিসাবে ড্রোনটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও ড্রোনের মাধ্যমে এ ধরনের আক্রমণ চালানো প্রযুক্তিগত ভাবে অনুন্নত এবং খুব উপযোগী পন্থা হিসাবে বিবেচিত হয় না।” গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকেই যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ড্রোন। তবে তা মূলত নজরদারির কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে বোমাবাজির বিষয়টি ঘটেনি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও রাশিয়া এই ড্রোনের ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।