Chabahar Port: ভারতের ‘ভরসা’ চাবাহার, ইরানের এই বন্দরেও কোপ ট্রাম্পের! কতটা ক্ষতি হবে বাণিজ্যে?
USA revokes sanctions waiver on Chabahar Port: আমেরিকা জানিয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। ওয়াশিংটন চায়, তেহরানের উপরে সর্বোচ্চ চাপ তৈরি করতে। এই বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভারত সহ একাধিক দেশ এই বন্দরের মাধ্যমেই সমুদ্রপথে বাণিজ্য করছে।

নয়া দিল্লি: শুল্ক চাপিয়েও সাধ মেটেনি। এবার আমেরিকার নয়া শয়তানি। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, চাবাহার বন্দরে যে নিষেধাজ্ঞায় ছাড় ঘোষণা করেছিল আমেরিকা, তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা। ২০১৮ সালে এই শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। এবার ট্রাম্প সরকার তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আর আমেরিকার এই সিদ্ধান্তেও পরোক্ষে চাপ আসতে চলেছে ভারতের উপরেই।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিবৃতি জারি করে জানায়, ইরানকে একঘরে করতে সর্বাধিক চাপ সৃষ্টি করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে যারা চাবাহার বন্দর নিয়ন্ত্রণ করবে কিংবা এই বন্দরে কাজ করবে, তাদের মার্কিনি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে।
আমেরিকা জানিয়েছে, আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হতে চলেছে। ওয়াশিংটন চায়, তেহরানের উপরে সর্বোচ্চ চাপ তৈরি করতে। এই বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভারত সহ একাধিক দেশ এই বন্দরের মাধ্যমেই সমুদ্রপথে বাণিজ্য করছে।
পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্যের রুট এই চাবাহার বন্দর। ভারত থেকে রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যেও ট্রান্সপোর্ট করিডর হিসাবে কাজ করে চাবাহার বন্দর। এই বন্দর উন্নয়নেও বিশেষ অংশীদার ভারত। অন্যদিকে আবার আরব সাগরে চিনের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণেও ভারতকে সাহায্য করে এই বন্দর। পাকিস্তানের গাদ্দার বন্দর নিয়ন্ত্রণ করে বেজিং। সেখান থেকে মাত্র ১৪০ কিলোমিটার দূরে চাবাহার বন্দরের নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতে।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভারতের কাছে উদ্বেগের কারণ গত বছর, ২০২৪ সালের ১৩ মে নয়া দিল্লি প্রথম দীর্ঘমেয়াদী বন্দর চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ১০ বছরের জন্য চাবাহার বন্দর পরিচালনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির অধীনে ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড প্রায় ১২০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। পরিকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য পরিষেবার মাধ্যমে ২৫০ মিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য ছিল। তবে এবার আমেরিকা করছাড় তুলে নেওয়ায় ভারতের যে কোম্পানিগুলি চাবাহার বন্দরে বিনিয়োগ করেছিল, তারা বিপাকে পড়বে।
প্রসঙ্গত, ইরান ফ্রিডম অ্যান্ড কাউন্টার প্রোলিফেরাশন অ্যাক্টের অধীনে ভারত সহ অন্যান্য দেশগুলি চাবাহার বন্দরে কাজ করতে পারত। দিতে হত না কোনও মার্কিন শুল্ক।
