Elcid Investment: একদিনেই ৬৬,৯৯,৫৩৫ শতাংশ রিটার্ন! দিওয়ালিতে টাকার বৃষ্টি হল এই স্টকে বিনিয়োগকারীদের উপরে

Share Market: এর আগে এমআরএফ(MRF)-র শেয়ার দর ১.২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছিল। এতদিন এটাই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ছিল কোনও শেয়ার দরের। সেই রেকর্ডকে ভেঙে এলসিডের শেয়ারের দাম একদিনে ৩ টাকা ৫৩ পয়সা থেকে লাফিয়ে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে। 

Elcid Investment: একদিনেই ৬৬,৯৯,৫৩৫ শতাংশ রিটার্ন! দিওয়ালিতে টাকার বৃষ্টি হল এই স্টকে বিনিয়োগকারীদের উপরে
প্রতীকী চিত্র।Image Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Oct 30, 2024 | 1:25 PM

মুম্বই: আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ যেন! একদিনেই এত রিটার্ন দিল স্মল ক্যাপ স্টক, যা শেয়ার বাজারে আগে কখনও কেউ দেখেনি। দালাল স্ট্রিটে ইতিহাস গড়ল এলসিড ইনভেস্টমেন্ট (Elcid Investments)। একদিনেই এই স্টকের শেয়ার দর ৩ টাকা ৫৩ পয়সা থেকে লাফিয়ে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকায় পৌঁছল। অর্থাৎ একদিনেই ৬৬,৯৯,৫৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে শেয়ারের দামে। আগে কখনও কোনও স্টক প্রাইজ এই উচ্চতা ছোঁয়নি।

উৎসবের মরশুমে যেখানে নেগেটিভ দিকেই ছুটছিল শেয়ারের সূচক, সেখানে হঠাৎ মার্কেটে হাওয়া বদল হয়েছে। হু হু করে বাড়ছে শেয়ারদর। অনেকে এই পরিবর্তনকে ২০২১ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি বুম বা উত্থানের সঙ্গেও তুলনা করছেন। তবে এলসিডের শেয়ার মূল্য কিন্তু হঠাৎ করেই হয়নি। বিএসই ও এনসএসই-র স্পেশাল কল অকশন বা নিলামেই শেয়ার দরে ৬৬,৯৯,৫৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

এর আগে এমআরএফ(MRF)-র শেয়ার দর ১.২ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছিল। এতদিন এটাই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি ছিল কোনও শেয়ার দরের। সেই রেকর্ডকে ভেঙে এলসিডের শেয়ারের দাম একদিনে ৩ টাকা ৫৩ পয়সা থেকে লাফিয়ে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে।

কীভাবে রাতারাতি এলসিডের শেয়ারদর আকাশ ছুঁল?

গতকাল, ২৯ অক্টোবর বিএসই-তে এলসিড ইনভেস্টমেন্টকে পুনরায় তালিকাভুক্ত করা হয়। এরপরই নিলামে হু হু করে শেয়ার দর বাড়তে থাকে। বর্তমানে সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৪৭২৫ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

শুধুমাত্র এলসিডই নয়, টিভিএস হোল্ডিং, কল্যাণী ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, এসআইএল ইনভেস্টমেন্ট, মহারাষ্ট্র স্কুটারের মতো একাধিক কোম্পানিরই রি-লিস্টিং করা হয় স্পেশাল কল অকশনের মাধ্যমে। বিএসই-র তরফে এই নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বিশেষ কিছু বিনিয়োগ ফার্মের আসল মার্কেট ভ্যালু জানার জন্য।

প্রসঙ্গত, এর আগে এলসিডের প্রোমোটাররা বিএসই থেকে কোম্পানিকে ডি-লিস্ট করার উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই সময় ১ লক্ষ ৬১ হাজার ২৩ টাকায় প্রতি শেয়ার বিক্রির অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি না পাওয়ায়, তা সম্ভব হয়নি।

কেন এত মূল্যবান এলসিড?

এলসিড ইনভেস্টমেন্টের স্টকের এই ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল এশিয়ান পেইন্টস লিমিটেডে এদের অংশীদারিত্ব। এশিয়ান পেইন্টসের ২,৮৩,১৩,৮৬০ টি শেয়ার রয়েছে এলসিডের কাছে, যা এশিয়ান পেইন্টসের ২.৯৫ শতাংশ মালিকানার সমান।

বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।