Pulse-Cumin Price Hike: মধ্যবিত্তের ভাত-ডালেও মূল্যবৃদ্ধির ‘থাবা’, জিরের ঝাঁঝও জল আনবে চোখে
Price Hike: চলতি বছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ বেড়েছে ডালের দাম। আগামী কয়েক মাসে এই দাম আরও বাড়তে পারে। ডালের এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে দায়ী উৎপাদনের ঘাটতি।
নয়া দিল্লি: দাম সেঞ্চুরি পার করতেই রান্নায় টমেটো দেওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অনেকে। চোখে জল আনছে লঙ্কার দামও। এমনিতেই বর্ষার মরশুমে শাক-সবজির দাম চড়া। যারা ভেবেছিলেন, দাম না কমা অবধি ভাত-ডাল খেয়েই কটা মাস কাটিয়ে দেবেন, তাদের জন্য রয়েছে খারাপ খবর। কারণে এবার চড়ছে নিত্যদিন পাতে পড়া ডালের দামও। চার মাসে আগেই যেখানে অরহর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছিল, তা বর্তমানে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ডালই নয়, ডালে ঝাঁঝ বাড়াতে যে তরকা দেওয়া হয়, তাও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ হু হু করে চড়ছে জিরের দাম। বর্তমানে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জিরে। আগামী কয়েক মাসে এই দাম আরও বাড়তে পারে।
বর্ষাকালে এমনই ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে শাক-সবজির দাম একটু চড়া থাকে। সম্প্রতিই ১০০ টাকা পার করেছে টমেটোর দাম। দেশের বেশ কিছু জায়গায় তা ১৫০ টাকাও ছুঁয়ে ফেলেছে। মাছ-মাংসের দামও জোগানের উপর নির্ভর করে কখনও বাড়ছে, কখনও কমছে। এই পরিস্থিতিতে যারা ভাত-ডাল খেয়ে কাটাবেন বলে ভেবেছিলেন, তাদের জন্যও দুঃসংবাদ। সম্প্রতিই প্রকাশিত একটি তথ্যে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে কমপক্ষে ১০ শতাংশ বেড়েছে ডালের দাম। আগামী কয়েক মাসে এই দাম আরও বাড়তে পারে। ডালের এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে দায়ী উৎপাদনের ঘাটতি।
চড়া ডালের দাম-
মূলত বিহার, পঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশের কিছু অংশ ও পূর্ব কর্নাটকে ডাল উৎপাদন হয়। এছাড়া পালিশ করা ডাল মায়ানমার ও কানাডা থেকে আমদানি করা হয়। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং অতিবৃ্ষ্টির কারণে ডালের উৎপাদন অনেকটাই কমে গিয়েছে।
বাড়ছে জিরের দামও-
শুধু ডাল নয়, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডালে তরকা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত জিরেরও দাম বাড়ছে। চলতি বছরেই জিরের দাম তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। তুরস্ক ও সিরিয়ায় অতি বৃষ্টি এবং উৎপাদনে ঘাটতির কারণে ভারতে আমদানি কমেছে। দেশে মোট জিরে উৎপাদনের মধ্যে ৯০ শতাংশই গুজরাট ও রাজস্থানে হয়য। সেখানেও বিনা মরশুমে বৃষ্টিপাতের কারণে ফলন অনেকটাই কমে গিয়েছে। যদি উৎপাদন না বাড়ে, তবে আগামিদিনে জিরের দাম আরও বাড়তে পারে।