Train Ticket Rules Change: চাইলেই আর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে না! বুকিংয়ের নিয়মে বিরাট পরিবর্তন করল রেলওয়ে
Indian Railways: রেল মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই কোটার যেন অপব্যবহার না হয়। ইমার্জেন্সি কোটায় ভ্রমণ করা যাত্রীর পরিচয় যেন খতিয়ে দেখা হয় এবং গাইডলাইন মেনেই ইমার্জেন্সি কোটায় টিকিট দেওয়া হয়।

নয়া দিল্লি: ভারতীয় রেলওয়ের আরও এক বিরাট সিদ্ধান্ত। বড় বদল আনা হল ট্রেনের টিকিট বদলের নিয়মে। চাইলেই আর দুমদাম করে ট্রেনে টিকিট পাওয়া যাবে না। আগেভাগেই আবেদন করতে হবে এবার। তবে এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবে সাধারণ যাত্রীরা।
জানা গিয়েছে, ইমার্জেন্সি কোটার অধীনে টিকিট বুকিংয়ের নিয়মে বড়সড় বদল আনা হয়েছে। এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে আগে থেকেই জানাতে হবে যে এই কোটায় কেউ ট্রেনে সফর করবেন কি না। সম্প্রতিই রেলের চার্ট তৈরিতে যে বদল আনা হয়েছে, তার জন্যই ইমার্জেন্সি কোটার নিয়মেও বদল করা হল।
যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এখন ট্রেন ছাড়ার ২ ঘণ্টা আগে নয়, ৮ ঘণ্টা আগেই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে ফেলা হচ্ছে। ইমার্জেন্সি কোটাতে যদি কেউ যাতায়াত করতে চান ট্রেনে, তবে এবার থেকে তাকে অন্তত একদিন আগে থেকে জানাতে হবে। তবেই চার্টে তাদের নাম থাকবে।
উল্লেখ্য, রেলে এই ইমার্জেন্সি কোটা রাখা হয় ভিআইপি, রেলওয়ের কর্মী ও মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির কোনও যাত্রীর জন্য। তবে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ, এই কোটার অপব্যবহার করা হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে এই কোটায় টিকিট বুকিংয়ের কারণে চার্ট তৈরিতেও প্রায়সই দেরি হয়। ওয়েটিং লিস্টে থাকা যাত্রীদের টিকিট কনফার্ম হয় না। এই সমস্যা মেটাতেই এবার ইমার্জেন্সি কোটায় টিকিট বুকিংয়ের নিয়মে বদল আনা হল।
রেলের নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, যারা ইমার্জেন্সি কোটায় টিকিট বুক করতে চাইছেন, তাদের অন্তত একদিন আগে আবেদন জমা দিতে হবে। যাত্রার দিন ইমার্জেন্সি কোটায় টিকিট পাওয়া যাবে না।
যদি রাত ১২টা থেকে দুপুর ২টোর মধ্যে কোনও ট্রেন ছাড়ে এবং কোনও ব্যক্তি ইমার্জেন্সি কোটায় ওই ট্রেনে সফর করতে চান, তবে যাত্রার আগের দিনই দুপুর ১২টার মধ্যে আবেদন জানাতে হবে। দুপুর ২টো থেকে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্য়ে কোনও ট্রেন ছাড়লে এবং সেই ট্রেনে সফর করতে চাইলে আগেরদিন বিকেল ৪টের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে। যদি আগেরদিন রবিবার বা ছুটির দিন পড়ে, তবে তার আগেরদিন ওয়ার্কিং আওয়ারের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে।
একইসঙ্গে রেল মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই কোটার যেন অপব্যবহার না হয়। ইমার্জেন্সি কোটায় ভ্রমণ করা যাত্রীর পরিচয় যেন খতিয়ে দেখা হয় এবং গাইডলাইন মেনেই ইমার্জেন্সি কোটায় টিকিট দেওয়া হয়।

