GST Rate Cut: সস্তা হয়ে যাবে গাড়ি থেকে টুথপেস্ট, GST-তে বদল হলে কী কী জিনিসের দাম বাড়বে?
GST Council Meeting: জিএসটি-তে বর্তমানে ৪টি স্ল্য়াব রয়েছে- ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, এই জিএসটি স্ল্যাবে পরিবর্তন এনে তা দুটি স্ল্যাবে রূপান্তরিত করা।

নয়া দিল্লি: দুর্গাপুজোর আগেই মধ্যবিত্তের কমতে পারে খরচ। বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছে জিএসটি কাউন্সিল (GST Council)। স্বাধীনতা দিবসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন যে দিপাবলীর উপহার হতে চলেছে জিএসটির পরিবর্তন। আজকের বৈঠকে জিএসটি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে? কী কী জিনিসই বা সস্তা হতে পারে?
জিএসটি-তে বর্তমানে ৪টি স্ল্য়াব রয়েছে- ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ ও ২৮ শতাংশ। কেন্দ্রের পরিকল্পনা, এই জিএসটি স্ল্যাবে পরিবর্তন এনে তা দুটি স্ল্যাবে রূপান্তরিত করা। ২৮ শতাংশ ও ১২ শতাংশের স্ল্যাব তুলে দেওয়া হতে পারে। আর এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে বিভিন্ন পণ্যের দামে বিরাট পরিবর্তন আসবে। ২৮ শতাংশের জিএসটি স্ল্যাবে থাকা পণ্যগুলি ১৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। ১২ শতাংশের স্ল্যাবে থাকা পণ্যগুলি ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে।
কী কী জিনিসের দাম কমতে পারে?
অটোমোবাইল– ১২০০ সিসির নীচে থাকা ছোট গাড়ি, ৩৫০ সিসির নীচে থাকা মোটরসাইকেল এবং বিভিন্ন অটো মোবাইল পার্টসের দাম কমতে পারে। ২৮ শতাংশ থেকে জিএসটি কমে ১৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এরফলে ছোট গাড়ি-বাইকের দাম অনেকটাই কমবে।
হসপিটালিটি ও বিনোদন– হোটেলের ভাড়া থেকে শুরু করে সিনেমার টিকিট অনেকটা সস্তা হতে পারে। হোটেল, সিনেমার টিকিটে বর্তমানে ১২ শতাংশ জিএসটি বসে, তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
চিকিৎসা পরিষেবা– ক্যানসারের ওষুধে ইতিমধ্যেই জিএসটিতে ছাড় দেওয়া হয়। অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও অন্যান্য ওষুধ সামগ্রীর উপর জিএসটি-ও ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার প্রিমিয়ামে জিএসটিতে ছাড় দেওয়া হতে পারে।
নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী– পনীর, খাখরা, পিৎজা ব্রেড, ফ্রুট জ্যুস, কোকোনাট ওয়াটার, মাখন, চিজ, পাস্তা ও আইসক্রিমও সস্তা হয়ে যেতে পারে। এই পণ্যগুলির উপরেও জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ বা সম্পূর্ণ জিএসটিই প্রত্য়াহার করে নেওয়া হতে পারে।
কৃষিপণ্য ও সার– সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়ায় জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
বস্ত্র– সিন্থেটিক কাপড়, ফাইবার সুতো, কার্পেট, হাতে বোনা কাপড়েও জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
সোলার কুকার– সোলার কুকারেও জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
স্টেশনারি পণ্য– রাবার বা ইরেজারে এতদিন ১২ শতাংশ জিএসটি বসত। এবার তা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হতে পারে। ম্যাপ, চার্ট, নোটবুক, অ্যাটলাসের উপরে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
টয়লেট্রিজ– টুথপাউডারের উপরে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। টুথপেস্টে জিএসটি ১২ শতাংশ কমে যেতে পারে। শ্যাম্পু, চুলের তেল, সাবান ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। ছাতার উপরেও জিএসটি ৫ শতাংশ হতে পারে।
কী কী জিনিসের দাম বাড়তে পারে?
জিএসটির স্ল্য়াবে পরিবর্তন হলে একদিকে যেখানে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমতে পারে, সেখানেই সিগারেট, তামাকজাত পণ্য, পানমশলা, লাক্সারি অটোমোবাইলের উপরে সিন ট্যাক্স বসতে পারে। ৪০ শতাংশ কর বসলে বিভিন্ন জিনিসের দাম অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
ইলেকট্রিক গাড়ি– ছোট গাড়ির দাম কমার সম্ভাবনা থাকলেও, ইলেকট্রিক গাড়ির দাম আবার অনেকটা বাড়তে পারে। ২০ থেকে ৪০ লাখের মধ্যে যে ইলেকট্রিক গাড়িগুলি রয়েছে, তার উপরে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ শতাংশ হতে পারে। ৪০ লাখের উপরে দামের ইলেকট্রিক গাড়ির উপরে ৪০ শতাংশ কর বসতে পারে।
পোশাক– ২৫০০ টাকার বেশি দামের পোশাকে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৮ শতাংশ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জিএসটির হারে এই রদবদল হলে মধ্যবিত্তের খরচ কমলেও, সরকারের আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্বে ক্ষতি হতে পারে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটি স্ল্যাব কার্যকর হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
