Inflation: মূল্যবৃদ্ধির ‘জোর কা ঝটকা’, এসি-ফ্রিজ, দুধ-দই সবই বাড়িয়ে দেবে আপনার পকেটের বোঝা!
Inflation in India: আগামী দিনে ‘জোর কা ঝটকা’ দিতে চলেছে মূল্যবৃদ্ধি। প্যাকেটজাত খাবার, দুগ্ধজাত পণ্য, অ্যালকোহল, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার ইত্যাদির দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
নয়া দিল্লি: দেশে খুচরা বাজারে মূল্যবৃদ্ধি চরমে উঠেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে, আরবিআই-এর বেঁধে দেওয়া ৬ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির ‘লক্ষ্মণ রেখা’ও পার করে গিয়েছে। তবে, আপনার পকেটের বোঝা আগামী দিনে আরও বাড়তে পারে। কারণ, প্যাকেটজাত খাবার, দুগ্ধজাত পণ্য, অ্যালকোহল, এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, জামাকাপড় এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা প্রসাধনী দ্রব্য ইত্যাদির দাম ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। কিন্তু কেন? প্রকৃতপক্ষে, ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়া এবং সংস্থাগুলির ক্রমবর্ধমান ব্যয় , তাদের দাম বাড়াতে বাধ্য করেছে। এই খরচের কিছুটা বোঝা এখন তারা গ্রাহকদের উপর চাপাচ্ছে।
অনেক বড় বড় সংস্থার শীর্ষস্থানীয় কর্তারা বলছেন, আগামী ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে বিভিন্ন পণ্যের দাম ৩ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি রেকর্ড মাত্রা ছুঁয়েছে, অন্যদিকে ডলারের বিপরীতে টাকার দামও রেকর্ড সর্বনিম্নে স্তরে নেমে এসেছে। তা সত্ত্বেও, গত ২ বছরের মধ্যে এটিই হবে সর্বনিম্ন মূল্যবৃদ্ধি। সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্তাদের বিশ্বাস করেন, মানুষের পণ্য ব্যবহারে এর কোনও প্রভাব পড়বে না। একই সঙ্গে সরকারের প্রচেষ্টার ফলে সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারও কমতে শুরু করবে।
বাজারে চাহিদা বজায় রাখতে উচ্চমূল্যের বড় অংশের বোঝা নিজেরাই বহন করছে সংস্থাগুলি। শিল্প জগতের আশা, এর ফলে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় সামগ্রিক চাহিদার উন্নতি হবে। এই প্রসঙ্গে ডাবর ইন্ডিয়ার সিইও মোহিত মালহোত্রা জানিয়েছেন, ডাবর ইন্ডিয়া আগামী দিনে তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে চলেছে। এর কারণ, আগে তাদের পণ্যের কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সার্বিকভাবে ৬.৫ শতাংশে। ব্রিটানিয়া ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বরুণ ব্যারি বলেছেন, “খাদ্য ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার উচ্চ স্তরে রয়েছে। গমের দামে ব্যাপকভাবে বেড়েছে। গত দুই বছরে মূল্যবৃদ্ধির যে মাত্রা আমরা দেখেছি তা প্রত্যাশিত ছিল না। ব্রিটানিয়া তাদের কিছু পণ্যের দাম আড়াই থেকে তিন শতাংশ বাড়াতে চলেছে।”
গত অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে দুধের দাম বেড়েছিল দুবার। চলতি মাসের শুরুতে আরও একবার বেড়েছে দুধের দাম। সব মিলিয়ে এই পর্যন্ত ৮ থেকে ৯ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে মাখন, ঘি, পনির, আইসক্রিমের মতো পণ্যের দামও বেড়েছে। মাদার ডেয়ারির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ বন্দলিশ বলেছেন, “পুরো শিল্পে কাঁচা দুধের দাম বেড়েছে। এর কারণ পশুখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়া। তাই উপভোক্তাদের জন্য দুধের দাম বাড়াতে হবে। আগামী অক্টোবর পর্যন্ত দুধের দাম ক্রমে বাড়তেই পারে।”
অন্যদিকে, প্রিমিয়াম আমদানিকৃত পোশাক ও সেলফ কেয়ার পণ্যগুলির দামও ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে। এসি, ফ্রিজ ও মাইক্রোওয়েভের মতো ইলেকট্রনিক সামগ্রীর যন্ত্রাংশের দামও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, গ্রীষ্মের মরসুমে এই পন্যগুলির দামও বর্তমান সময়ের দামের থেকে অনেকটাই বাড়তে পারে।