RBI Monetary Policy: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেনের পরিস্থিতি, ১১ দফাতেও অপরিবর্তিত রইল রেপো রেট
RBI Monetary Policy: শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, ওমিক্রনের ঢেউ হ্রাস পাওয়ায়, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পরিবর্তিত ভৌগলিক রাজনীতির কারণে দেশের অর্থনীতি ফের ধাক্কা খেতে পারে।
নয়া দিল্লি: করোনার ধাক্কা সামলাতে পারলেও, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) জেরে ফের ধাক্কা খেতে পারে দেশের অর্থনীতি। সেই কারণে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়ানোর আরও একটু সময় দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI)। ১১ দফাতেও অপরিবর্তিতই থাকল রেপো রেট (Repo Rate)। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এদিন সকালে জানানো হয়, এবারও রেপো রেট ৪ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। রিভার্স রেপো রেট(Reverse Repo Rate)-ও ৩.৩৫ শতাংশেই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। করোনা পরবর্তীকালে এই নিয়ে ১১ বার অপরিবর্তিত রাখা হল রেপো রেট। নতুন অর্থবর্ষ ২০২২-২৩ সালে এই প্রথম দ্বিমাসিক নীতি প্রকাশ করা হল।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, ওমিক্রনের ঢেউ হ্রাস পাওয়ায়, দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও পরিবর্তিত ভৌগলিক রাজনীতির কারণে দেশের অর্থনীতি ফের ধাক্কা খেতে পারে। আমাদের দেশের অর্থনীতি এক নতুন ও বিশাল বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইউরোপের পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতিকেই নড়বড়ে করে দিতে পারে।
RBI keeps repo, reverse repo rates unchanged for 11th time in row
Read @ANI Story | https://t.co/FiMLGvgbgv #RBI #reporate #reversereporates pic.twitter.com/OVl1xPQqQj
— ANI Digital (@ani_digital) April 8, 2022
উল্লেখ্য, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যে সুদের হারে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তাকে রেপো রেট বলা হয়, এবং যে সুদের হারে অন্যান্য ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ঋণ নেয়, তাকে রিভার্স রেপো রেট বলা হয়।
২০২০ সালের মার্চ মাস মাসে দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয় লকডাউন। এর জেরে গোটা দেশই থমকে দাঁড়ানোয়, অর্থনীতি সামাল দিতে রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ অর্থের জোগানে ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রোপে রেট যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৩.৩৫ শতাংশে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি ত্রৈমাসিকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটি বৈঠকে বসলেও রেপো রেট ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিতই রাখা হয়।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য প্রকৃত জিডিপির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.২ শতাংশ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগের অর্থবর্ষের জন্য ৭.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাষ করা হয়েছিল। ২০২৩ অর্থবর্ষের জন্য রিটেল মূদ্রাস্ফীতি ৫.৭ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। আগে এটি ৪.৫ শতাংশ ঘোষণা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:Salary Hike: এপ্রিলের শুরুতেই কর্মীদের জন্য দারুণ খবর, কত শতাংশ বেতন বাড়বে জানেন?