AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Election Commission on draft roll: খসড়া তালিকায় নাম না থাকলে কোনও চিন্তা নেই, কী করতে হবে নিয়ম জানিয়ে দিল কমিশন

SIR: তিনি বলেন, "যে কোনও কাজ অল্প সময়ের মধ্যে অনেকখানি করতে হয় সেখানেই চাপ হয়। সেই চাপে আমরাও আছি। সেই চাপে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকলে আছে। সাধারণ ভাবে একজন সরকারি কর্মচারি যে কাজের চাপ থাকে, তার চেয়ে যে বেশই চাপ তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু এমনও নয় যে এত চাপ হয়েছে সেই কাজ করা যায়নি। তাই যদি হত, তাহলে ৮১ হাজার বুথের ৫৮ লক্ষ নাম বাদ দিতে হত না। তাঁরা তো করেছেন।"

Election Commission on draft roll: খসড়া তালিকায় নাম না থাকলে কোনও চিন্তা নেই, কী করতে হবে নিয়ম জানিয়ে দিল কমিশন
সুব্রত গুপ্ত, কমিশনের স্পেশাল অবজারভারImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2025 | 7:56 PM
Share

কলকাতা: আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বেরবে খসড়া তালিকা। প্রত্যেকের মনেই হয়ত এই চিন্তা ঘুরছে নাম থাকবে তো? আর নাম না থাকলে কী হবে? কী করতে হবে? এই খসড়া তালিকা প্রকাশের আগেই নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার সুব্রত গুপ্ত একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন টিভি ৯ বাংলাকে। তিনি জানিয়েছেন ঠিক কী কী করতে হবে?

প্রশ্ন: কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে প্রায় ৫৮ লক্ষের নাম বাদ যেতে পারে। ফলে যাঁদের নাম বাদ যাবে তাঁরা কী করবেন?

সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): খসড়া তালিকায় যদি নিজের নাম না দেখেন তাহলে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। অনলাইনেই ফর্ম 6-এ আবেদন করতে পারবেন। সেই আবেদনের পর আপনাকে শুনানিতে ডাকবে। আর সেই শুনানিতে কাগজ দেখানোর পর সঙ্গে-সঙ্গে সেটা সেই রোলে তুলে দেওয়া হবে। সুতরাং কেও যদি এখানকার বাসিন্দা হন, আর তার কাছে যদি প্রমাণ থাকে তাহলে ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

প্রশ্ন: কমিশন কি আরও একটি সুন্দর করে কাজ করতে পারত? কোথাও কি একটি চাপ হচ্ছে? নাকি তারা রাজনৈতিক প্ররোচনায় কিছুটা হলেও চাপ নিচ্ছে?

সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): যে কোনও কাজ অল্প সময়ের মধ্যে অনেকখানি করতে হয় সেখানেই চাপ হয়। সেই চাপে আমরাও আছি। সেই চাপে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকলে আছে। সাধারণ ভাবে একজন সরকারি কর্মচারি যে কাজের চাপ থাকে, তার চেয়ে যে বেশই চাপ তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু এমনও নয় যে এত চাপ হয়েছে সেই কাজ করা যায়নি। তাই যদি হত, তাহলে ৮১ হাজার বুথের ৫৮ লক্ষ নাম বাদ দিতে হত না। তাঁরা তো করেছেন।

প্রশ্ন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, একটাও বৈধ নাম বাদ গেলে তিনি বরদাস্ত করবেন না…

সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): কমিশনের নির্দেশে আমায় যখন নিয়োগ করা হয়েছিল বা আমার মতো যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল তখন নির্দেশ একই ছিল। কোনও বৈধ ভোটারের নাম যেন বাদ না যায়। এবং কোনও ব্যক্তি যাঁর নাম ভোটার লিস্টে থাকার কথা নয়, তাঁর নামও ভোটার লিস্টে থাকবে। তাই একই লক্ষ্য আমাদেরও।

প্রশ্ন: এটা কি কোনও চাপ হিসাবে দেখছেন? সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): আমাদের কাজ এটাই। এই কাজটাই করছি। একবার পাবলিশ করা হল, আর সেইটাই ফাইনাল। যে কারণে এত দিন ধরে বিএলওরা বাড়ি-বাড়ি গিয়েছেন। যে কারণে দু’মাস খসড়া তালিকা থাকবে পোর্টালে। এই সময় শুনানি চলবে। লোকে আবেদন করতে পারবেন। এর মধ্যে যদি কোনও ভুল-ভ্রান্তি ধরা পড়ে মানুষ আবেদন করবেন। তারপর তাঁর নাম আসবে কি আসবে না দেখা যাবে।

প্রশ্ন: প্রাথমিকভাবে কত বাদ যেতে পারে?

সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): কতজনকে শুনানিতে ডাকা হবে তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা কমিশনের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি। ৩০ লক্ষ মানুষের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, নিঃসন্দেহে তাঁদের শুনানিতে ডাকা হবে। বাকি কাদের ডাকা হবে সেটা নির্দেশের অপেক্ষা করছি। তাই কমিশনের নির্দেশ ছাড়া বলতে পারব।

প্রশ্ন: শুনানিতে রোল অবজারভার থাকবেন?

সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): হ্যাঁ নিশ্চয়ই থাকবে।

প্রশ্ন: আপনি তো বিভিন্ন জেলায় গেলেন, সত্যিই কি অনুপ্রবেশকারী নজরে পড়েছে? বিশেষ করে বাংলাদেশি যাঁদের বলা হচ্ছে.

সুব্রত গুপ্ত (নির্বাচন কমিশনের স্পেশাল অবজারভার): দেখুন কেউ তো মাথায় লেবেল লাগিয়ে ঘুরছে না বাংলাদেশি বলে। আমি বলতে পারি, ১ কোটির বেশি ভুলভ্রান্তিগুলো মিলেছে। অনেক ক্ষেত্রে তথ্যের ভুলভ্রান্তি হতে পারে, আর অন্য কিছুর ভুলভ্রান্তিও মিলেছে। তবে অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু শুনানি না হলে বলা সম্ভব নয় কে বাংলাদেশি।