AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Meghalaya election 2023: মেঘালয়ে ঘাসফুলে ফুটল পাঁচ ফুল, ‘সাফল্য’কে হাতিয়ার করে উত্তর-পূর্বে এক ধাপ এগোল তৃণমূল

TMC in Meghalaya election 2023: ত্রিপুরা খালি হাতে ফেরালেও, মেঘালয়ে বড় সাফল্য পেল তৃণমূল কংগ্রেস।

Meghalaya election 2023: মেঘালয়ে ঘাসফুলে ফুটল পাঁচ ফুল, 'সাফল্য'কে হাতিয়ার করে উত্তর-পূর্বে এক ধাপ এগোল তৃণমূল
মেঘালয়ে প্রচার পর্বে অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 11:42 PM
Share

শিলং: দেশের একাধিক রাজ্যে সংগঠন বিস্তার। ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আশাতীত সাফল্য পাওয়ার পরই, এই লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্য ছিল উত্তর পূর্ব ভারত। মণিপুর, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়কে পাখির চোখ করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মণিপুরে একজন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন, যদিও পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের নির্বাচনের ফল বেরিয়েছে। ত্রিপুরায় কোনও প্রভাবই ফেলতে পারেনি। তবে মেঘালয়ে বড় সাফল্য পেল ঘাসফুল শিবির। সব মিলিয়ে সদ্য সমাপ্ত মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে ৫টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল দাদেংগ্রে কেন্দ্রে রূপা এম মারাকের জয়। তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন মেঘালয়ে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার দাদা জেমস পাংসাং সাংমা। দাদেগ্রে আসন থেকে গত তিনবার জয়ী হয়েছিলেন জেমস সাংমা। রাজ্য রাজনীতির এই প্রভাবশালী নেতাকে মাত্র ৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন রূপা এম মারাক। এই জয় দিয়েই খাতা খুলেছিল তৃণমূল। তারপর, নংথিম্মাই আসন থেকে জয়ী হন চার্লস পিনগ্রোপ, সোংসক আসনে মুকুল সাংমা, রাজাবালা আসনে মিজানুর রহমান কাজি এবং আম্পাটি আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী মিয়ানি ডি শিরা।

মেঘালয়ে অবশ্য তৃণমূলের উপস্থিতি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। ২০০৪ সালের লোকসভা আসনে তৃণমূল দুটি আসন পেয়েছিল। একজন সাংসদ ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অপরজন পিএ সাংমা। পিএ সাংমার ছেলে কনরাড সাংমাই অবশ্য এখন মেঘালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রধান প্রতিপক্ষ। ২০১৮ সালেও মেঘালয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তবে সেইবার তৃণমূলকে খালি হাতেই ফিরিয়ে ছিল মেঘালয়। ভোট জুটেছিল মাত্র ০.৪ শতাংশ। সবকটি আসনেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের।

তবে তিন বছর পরই কংগ্রেস দলকে ভাঙিয়ে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনে সর্ববৃহৎ দল হওয়া সত্ত্বেও যেভাবে এনপিপি, ইউডিপি ও অন্যান্য দলগুলিকে একত্রিত করে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি, তাতে চরম অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন মুকুল সাংমা। তিনি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস শীর্ষনেতারা উদ্যোগী না হওয়াতেই ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছিল কংগ্রেসের। এরপরই, ২০২১ সালে নভেম্বরের শেষে মুকুল সাংমা-সহ ১২জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।

কাজেই, এতদিন মেঘালয় বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে বিবেচিত হলেও, সেই তকমা জুটেছিল কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে। এবার কিন্তু এল নির্বাচনী সাফল্য। ১৩.৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে তৃণমূলের পিছনে রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেসও। একমাত্র আগে আছে এনপিপি এবং ইউডিপি। আসন প্রাপ্তির দিক থেকেও রাজ্যে তৃতীয় স্থানে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই প্রাপ্তি কোনও দল ভাঙিয়ে আসেনি, নির্বাচনে লড়াই করে মেঘালয়ে এই জায়গা করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কাজেই মেঘালয় থেকেই বঙ্গের বাইরে দলকে ছড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্নের দৌড় শুরু হল বলা চলে।