শিলিগুড়ি: দুয়ারে পুরভোট। অন্যদিকে উর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। ওমিক্রন কাঁটায় বিদ্ধ বঙ্গে ভোট হওয়া উচিৎ কিনা এ নিয়ে যখন শুরু হয়েছে তর্ক- বিতর্ক, তখন নীরবেই বাড়ছে কন্টেইনমেন্ট জ়োন। আর সেই কন্টেইনমেন্ট জ়োনের ফাঁসে আটকে গেল শিলিগুড়ি পুরভোটের (Siliguri Municipality Election) প্রার্থীর (Candidate) প্রচারও।
ভোটের মুখে শিলিগুড়ি শহরের এ পর্যন্ত মোট তিনটি ওয়ার্ডে কন্টেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করেছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। সেই কন্টেইনমেন্ট জ়োনের ফাঁসে আটকে গেলেন তৃণমূলের প্রার্থী (TMC Candidate) বিমল ঘোষ। ফলে ভোট প্রচার কী ভাবে হবে তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। সমস্যায় প্রতিদ্বন্দ্বীরাও।
শিলিগুড়ি পুর নিগমের ১৪, ১৯ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী একাধিক পরিবারে রয়েছেন করোনা আক্রান্ত। তাই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে প্রবেশের একাধিক রাস্তাকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সামনে লেখা কন্টেইনমেন্ট জ়োন। বুধবার সকালেই
বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকানপাট। পাহারা না থাকায় এলাকার মানুষজন অবশ্য সেখান দিয়েই দিব্যি যাতায়াত করছেন। তবে প্রচারে বাধা পড়ল তৃণমূল প্রার্থীর। তিনি যে ওই এলাকারই বাসিন্দা।
এদিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর এবং এবারের সিপিএম প্রার্থী মৌসুমী হাজরা অভিযোগ করেন, “এলাকায় কন্টেইনমেন্ট জ়োন বলা হলে, ওই এলাকার মানুষের কাছে আমি প্রচারে যাব কেমন করে?” তাঁর আরও অভিযোগ, “ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিমল ঘোষ ওই কন্টেইনমেন্ট জ়োন এলাকার ভিতরেই বসবাস করেন। তাহলে কি তিনি প্রচারে যাবেন না? শাসক আর বিরোধীদের জন্য কি কি নিয়ম হবে তা বলে দিক পুরনিগম”।
আর তৃণমূল প্রার্থী নিজে কী বলছেন?
১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিমল ঘোষের কথায়, “আজ সকালেও প্রচারে গিয়েছিলাম। একটু আগে বাড়ি ফিরেছি। আমার বাড়ি এই কন্টেইনমেন্ট জ়োন – এর ভিতরেই। প্রচারে আমাকে বের হতেই হবে। আমার এলাকায় একটা বাড়িতে করোনা হয়েছিল। কিন্তু গোটা এলাকা কন্টেইনমেন্ট জ়োন হয়ে গিয়েছে! আমি দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব”।
ভোটের মুখে এভাবে শহরজুড়ে কন্টেইনমেন্ট জ়োন হওয়ায় আতঙ্ক বেড়েছে মানুষজনের মধ্যে। বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, একদিকে ভোট করা হচ্ছে, প্রচার চলছে। তারই পাশাপাশি আবার কন্টেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হচ্ছে। সে সব আবার মানছেন না প্রার্থীরাই। আদৌ করোনার বিরুদ্ধে কি সদর্থক পদক্ষেপ হচ্ছে? নাকি খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তাঁদের।