KP Maurya on Akhilesh: ‘অখিলেশ আলি জিন্নাহ’ বলে ডাকলেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী
Keshav Prasad Maurya: আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি।
আম্বেদকর নগর: আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। দিন যত এগোচ্ছে, দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পারদ তত চড়ছে। গোবলয়ের এই রাজ্যে নির্বাচনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে উঠে আসছে একটি নাম। তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নাহ। শনিবার সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবকে আক্রমণ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তার অভিযোগ, পিছিয়ে পড়া জাতির নাম করে রাজনীতি করেন অখিলেশ।
তিনি বলেন, “আমি তাঁকে আর অখিলেশ যাদব নামে ডাকব, তাঁকে এখন থেকে অখিলেশ আলি জিন্নাহ বলে ডাকব।” আম্বেদকর নগরে এক জনসভায় এই মন্তব্য করেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী। মৌর্যের দাবি, “অখিলেশ দলিতদের নিয়ে নিজের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। যে দলিতরা ২০১৪ সালে তাঁকে সমর্থন করেননি, সেই দলতিরা ২০২২ সালেও তাঁকে সমর্থন করবেন না। ২০১২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত অখিলেশের সরকারের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল, দলিতদের সম্মান করার হলে তিনি তখনই করতে পারতেন। এখন তাদের সামনে এগিয়ে আনার কথা বলতে হত না।”
কয়েক সপ্তাহ আগেও অখিলেশ তাঁর ও তাঁর দলের নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছিলেন কেশব প্রসাদ। তিনি বলেছিলেন, “সমাজবাদী পার্টির তোষণের রাজনীতির কারণের জিন্নাহর নাম উঠেছে। তাই অখিলেশকে আমার পরামর্শ নিজের নাম পরিবর্তন করে অখিলেশ আলি জিন্নাহ আর দলের নাম পরিবর্তন করে জিন্নাহবাদী পার্টি করে দেওয়া হোক।”
৩১ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের হারদোইতে একটি নির্বাচনী প্রচারে, স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলে ১৪৬ তম জন্ম বার্ষিকীতে অখিলেশ তাঁর প্রশংসা করেন। তারপরই তিনি বলেন, “সর্দার পটেল, মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু এবং জিন্নাহ একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে ব্যারিস্টার হয়েছিলেন। তাঁরা ব্যারিস্টার হয়েছিলেন এবং তাঁরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। তাঁরা কখনও কোনও সংগ্রাম থেকে পিছপা হননি”। অখিলেশের এই মন্তব্য সামনে আসা পর থেকেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। অখিলেশেকে উদ্দেশ্য করে যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বলেছিলেন তালিবানি মনোভাব থেকেই এই ধরণের মন্তব্য করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরতেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election 2022)। তার আগেই একের পর ইস্যুতে তপ্ত লখনউয়ের রাজনীতি। একের পর এক ঘটনায় শাসক বিরোধী চাপন উতর চলছেই। বিধানসভা নির্বাচনে, উত্তর প্রদেশে বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই অখিলেশের সমাজবাদী পার্টির। সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই ৪০৩ আসনের উত্তর প্রদেশ বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নিজেদের মতন করে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক দলগুলি। জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের গুরুত্ব অসীম। কথিত আছে ‘দিল্লির রাস্তা উত্তর প্রদেশ হয়েই যায়’, সেই কারণে এই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখাই সবদলগুলির কাছেই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন Pterol Price Today: প্রকাশিত হল পেট্রোল ডিজেলের নতুন দাম, জানুন কোন শহরে কত হল দাম