AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভাইকে বাড়িতে আটকে ফোন কেড়ে নেন আমির, বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক

আমির খান এবং তার পরিবার সম্প্রতি ফয়সাল খানের করা অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, যেখানে তাঁরা ফয়সালের দাবিগুলিকে “বেদনাদায়ক এবং বিভ্রান্তিকর” বলে উল্লেখ করেছেন। দুই ভাইয়ের তিক্ত সম্পর্ক আবারও আলোচনায় এসেছে, যেখানে ফয়সাল আমির ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ ও জোরপূর্বক আটকে রাখার অভিযোগ আনেন।

ভাইকে বাড়িতে আটকে ফোন কেড়ে নেন আমির, বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2025 | 12:42 PM
Share

আমির খান এবং তার পরিবার সম্প্রতি ফয়সাল খানের করা অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, যেখানে তাঁরা ফয়সালের দাবিগুলিকে “বেদনাদায়ক এবং বিভ্রান্তিকর” বলে উল্লেখ করেছেন। দুই ভাইয়ের তিক্ত সম্পর্ক আবারও আলোচনায় এসেছে, যেখানে ফয়সাল আমির ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণ ও জোরপূর্বক আটকে রাখার অভিযোগ আনেন।

একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে, পরিবার জানিয়েছে যে তাঁরা ফয়সালের সুস্থতা ও মঙ্গলের কথা বিবেচনা করেই কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তাঁরা মিডিয়াকে ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  “আমরা গভীরভাবে দুঃখিত ও হতবাক যে ফয়সাল তার মা জিনাত তাহির হুসেইন, তার বোন নিখাত হেগড়ে এবং ভাই আমিরের সম্পর্কে যা বলেছেন তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও বিভ্রান্তিকর। এটি প্রথমবার নয়, যখন তিনি ঘটনাগুলিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন। তাই, আমরা মনে করি আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার করা প্রয়োজন এবং আমাদের পারিবারিক সংহতির কথা আবারও জানানো জরুরি। আমরা জানাতে চাই, ফয়সালকে ঘিরে প্রতিটি সিদ্ধান্ত পারিবারিকভাবে সম্মিলিতভাবে, একাধিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের পরামর্শে, ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং তাঁর মানসিক ও আবেগগত সুস্থতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। এই কারণেই আমরা আমাদের পরিবারের জন্য কষ্টদায়ক ও কঠিন এই সময়ের বিস্তারিত প্রকাশে বিরত থেকেছি। আমরা মিডিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণের আহ্বান জানাচ্ছি এবং ব্যক্তিগত একটি বিষয়কে চটকদার, উস্কানিমূলক ও কুৎসিত গসিপে পরিণত না করার অনুরোধ করছি।” এই বার্তার  সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে কিছু নাম। যেমন রীনা দত্ত, জুনাইদ খান, ইরা খান, ফারহাত দত্ত, রাজীব দত্ত, কিরণ রাও, সন্তোষ হেগড়ে, সেহের হেগড়ে, মনসুর খান, নুজহাত খান, ইমরান খান, টিনা ফনসেকা, জায়ন মারি খান, পাবলো খান।

একটি সাক্ষাৎকারে ফয়সাল অভিযোগ করেন যে, তাঁর পরিবার তাকে স্কিজোফ্রেনিয়া রোগী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং তাঁকে “একজন উন্মাদ ব্যক্তি” বলে সমাজের জন্য বিপজ্জনক মনে করেছে। তিনি আরও দাবি করেন, একবার আমির খান তাকে মুম্বইয়ের বাড়িতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছিলেন। ফয়সাল সেই সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি নিজেকে বন্দি মনে করতেন। কারণ তাঁর পরিবার জোর দিয়ে বলত যে, তার স্কিজোফ্রেনিয়া রয়েছে এবং তিনি সমাজের প্রতি হুমকির মতো। তিনি সেই পরিস্থিতিকে একটি “চক্রব্যূহ” হিসেবে বর্ণনা করেন, যেখানে তিনি আটকে পড়েছিলেন বলে মনে করতেন। তিনি দাবি করেন, পুরো পরিবার তাঁর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল এবং তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির ভাবত।

ফয়সাল খান আরও বলেন, তিনি প্রায়ই সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করতেন এবং চাইতেন তার বাবা—যিনি, তাঁর মতে, পারিবারিক রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না—তাঁকে সাহায্য করুন। তবে তিনি দাবি করেন তাঁর বাবার সাথে যোগাযোগ করার কোনও উপায় ছিল না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, আমির তাঁকে এক বছর ধরে ঘরে আটকে রেখেছিলেন, তাঁর ফোন কেড়ে নেন, রুমের বাইরে নিরাপত্তারক্ষী বসিয়ে দেন এবং তাঁকে ওষুধ খাওয়ান। তিনি বলেন, তাঁকে বাইরে যেতে দেওয়া হতো না এবং এক বছরের এই বন্দিত্বের পর, তাঁর অনুরোধে আমির অবশেষে তাকে অন্য একটি বাড়িতে যেতে দিতে রাজি হয়েছিলেন।