রুদ্রনীলের বিরুদ্ধে তরুণীর ‘কুপ্রস্তাব’-এর অভিযোগ, পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বললেন ‘কুৎসা’
বাম-তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রুদ্রনীলকে। কেউ বলেছেন ‘দলবদলু’ কেউ বলেছেন ‘ধান্দাবাজ’ আবার কেউ দিয়েছেন সুবিধেবাদীর তকমা। তবে এসবের মধ্যে ছাপিয়ে গেল নীলাঞ্জনা পাণ্ডের কুপ্রস্তাবের অভিযোগ।
অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে উঠল হেনস্থার অভিযোগ। নীলাঞ্জনা পাণ্ডে নামে একজন মহিলা তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে লিখলেন এক বড় পোস্ট। নীলাঞ্জনা তাঁর লেখায় বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনে হারের ‘খুশি’ ব্যক্ত করে শুরু করলেও পরে তা সরাসরি হেনস্থার অভিযোগে বদলে যায়।
নীলাঞ্জনা লেখেন,‘আমি যদি সত্যি কথা বলি, তাহলে বলব, আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি রুদ্রনীল ঘোষ-এর হারে।’ তাঁর দাবি রুদ্রনীল তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন, তবে সে প্রস্তাবে সাড়া দেননি নীলাঞ্জনা। তাঁর অভিযোগ, ‘কয়েক বছর আগে, রুদ্রনীলের কুপ্রস্তাব না মানায় তার প্রোডাকশন হাউস থেকে আমাকে বার করে দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রাপ্য টাকাও দেওয়া হয়নি। সেদিন ইন্ডাস্ট্রিতে নিউকামার ছিলাম। আজ প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন সেদিন বিচার চাইনি? আসলে তখন ভয় পাইনি, কিন্তু বিচারের জন্য একজন নিউকামারকে কী ভাবে এগতে হবে জানতাম না। ঘৃণাবশত, রুদ্রর নোংরা মেসেজ মোবাইল থেকে ডিলিট করে দিয়েছিলাম। ফলে প্রমাণ ছিল না। আজও বিশ্বাস করি, ভগবানের মারে আওয়াজ হয় না। তাঁর বিচার খুব সুক্ষ্ম বিচার। সে দিন হয় তো রুদ্রনীল প্রভাব খাটিয়ে আদালতে আমাকে পরাজিত করত।
আরও পড়ুন গানে গানে ভাইজান বলছেন তিনি কারও কথা শোনেন না!
কিন্তু আজ জনগণ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। আজ রুদ্রনীল ঘোষ পরাজিত। রুদ্রনীলের পতনের সবে শুরু হয়েছে। রুদ্রনীল যদি এই পোস্ট দেখে বা তাকে যদি আমার পরিচিত কেউ এই পোস্ট সম্পর্কে বলে, তাহলে আমিও শুনতে চাই রুদ্রনীল কিভাবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য সাফাই দেবে। এই পোস্টে আজ আমি কাউকে ট্যাগ করব না। শুধু জনগণ ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জানাব। তাঁরা ন্যায়বিচার করেছেন। রুদ্রনীল ঘোষ, তুমি হেরেছ বলে তোমার শহর হাওড়া গর্বিত, আনন্দিত। তোমার শহর হাওড়াও তোমাকে তার সন্তান বলতে ঘৃণা বোধ করে। আরও একটি কথা, একটি ছেলে কোনো মেয়েকে ধর্ষণ করে, কুপ্রস্তাব দিয়ে পুরুষ হয় না। তাকে নপুংসক বলা হয়। প্রকৃত পুরুষ সে, যে নারীত্বকে সম্মান প্রদর্শন করে। রুদ্রনীল, এই পোস্টের কথা জানার পর তুমি সাইবার ক্রাইম সেলে যাও, আমার বিরুদ্ধে মামলা করো, আমি সেসবের পরোয়া করি না। কিন্তু মনে রেখো, এই তোমার পতনের শুরু।’
গোটা ঘটনার বিষয়ে কিছু জানতেন না ভবানীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। Tv9 বাংলার পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি শুনে রুদ্রনীল বলেন, “আমি এগুলোকে রাজনৈতিক আক্রমণ হিসেবেই দেখছি। যখন কোনও প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হন, তখনই তাঁকে নিয়ে অভিযোগ-অপপ্রচার চলে। এটি তেমনই এক অভিযোগ-কুৎসা। আমি এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে চাই না।”
বাম ও তৃণমূল ঘুরে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে নানা মহলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে রুদ্রনীলকে। কেউ বলেছেন ‘দলবদলু’ কেউ বলেছেন ‘ধান্দাবাজ’ আবার কেউ দিয়েছেন সুবিধেবাদীর তকমা। তবে এসবের মধ্যে ছাপিয়ে গেল নীলাঞ্জনা পাণ্ডের কুপ্রস্তাবের অভিযোগ।