মহুয়া রায় চৌধুরীর চরিত্রে অঙ্কিতা, বড়পর্দায় মৃত্যু-রহস্য নিয়ে কাটাছেঁড়া
১৯৫৮-র ২৪ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরীর জন্মদিন। সেই প্রাণ অকালে ঝরে গিয়েছিল ১৯৮৫ সালের ২২ জুলাই। বাংলা ছবির অন্যতম সফল অভিনেত্রীর গায়ে আগুন কীভাবে লাগল, তা নিয়ে চর্চা চলেছে বহু বছর ধরেই। এই অভিনেত্রীর প্রতিভা নজরে এসেছিল টলিপাড়ার তাবড় পরিচালকদের। সুযোগ পাওয়ার পর দর্শকের মনেও জায়গা করে নিতে সময় নেননি মহুয়া। কিন্তু শুধু সেই কারণে তাঁর জীবন চর্চিত নয়।

১৯৫৮-র ২৪ সেপ্টেম্বর অভিনেত্রী মহুয়া রায় চৌধুরীর জন্মদিন। সেই প্রাণ অকালে ঝরে গিয়েছিল ১৯৮৫ সালের ২২ জুলাই। বাংলা ছবির অন্যতম সফল অভিনেত্রীর গায়ে আগুন কীভাবে লাগল, তা নিয়ে চর্চা চলেছে বহু বছর ধরেই। এই অভিনেত্রীর প্রতিভা নজরে এসেছিল টলিপাড়ার তাবড় পরিচালকদের। সুযোগ পাওয়ার পর দর্শকের মনেও জায়গা করে নিতে সময় নেননি মহুয়া। কিন্তু শুধু সেই কারণে তাঁর জীবন চর্চিত নয়।
কারও দাবি মহুয়ার প্রেমের জীবন ছিল নজরকাড়া। কারও দাবি মদ্যপান, তাঁর জীবনের টালমাটাল অবস্থার জন্য দায়ী। বিবাহিত জীবন যে সুখের ছিল না মহুয়ার, সে কথা অনেকেই মনে করেন। মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেত্রীর আদরের ছিলেন মহুয়া। আবার রত্না ঘোষাল বরাবর সংবাদ মাধ্যমের কাছে মহুয়ার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রান্নাঘরে দুধ গরম করতে গিয়ে কী করে পুড়ে গেলেন মহুয়া, প্রশ্ন ছিল তাঁর। তাঁরা মহুয়াকে নিয়ে কথা বললেও, অভিনেত্রীর ছেলে সংবাদমাধ্যমের কাছে মহুয়া-মৃত্যু নিয়ে মন খুলে কথা বলতে চাননি। যে কারণে মহুয়ার মৃত্যুর ৪০ বছর পরেও, তাঁর জীবন নিয়ে বাঙালি দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে।
পরিচালক সোহিনী ভৌমিক নায়িকার জীবন নিয়েই তৈরি করবেন ‘গুনগুন করে মহুয়া’। শুধু রহস্য-মৃত্যুর দিকটাই উঠে আসবে ছবিতে এমন নয়, এই ছবি মহুয়ার বায়োপিক। ছবির প্রস্তুতি তিনি শুরু করে দিয়েছিলেন আগেই। ছবিতে মহুয়ার চরিত্রে দেখা যাবে অঙ্কিতা মল্লিককে। অঙ্কিতা এই মুহূর্তে ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিকের প্রধান মুখ। এই সুযোগ পেয়ে আপ্লুত তিনি। TV9 বাংলাকে অঙ্কিতা জানালেন, ”আমি উত্তেজিত আর নার্ভাস। সমস্ত অনুভুতি একসঙ্গে কাজ করছে। আমাকে এমন একজন অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ প্রযোজক রাণা সরকার দিয়েছেন, যিনি আমার মতোই প্রত্যেক সিনেমাপ্রেমী বাঙালির কাছে ভীষণ প্রিয়। এক কথায় স্বপ্নের নায়িকা। এই চরিত্রকে বড়পর্দায় ফুটিয়ে তোলার কাজটাও কঠিন। তবে সোহিনীদির পরিচালনায় চেষ্টা করব, দর্শক যাতে মহুয়া রায় চৌধুরীকে কিছুটা হলেও বড়পর্দায় ফিরে পান।” অঙ্কিতা জানালেন ‘জগদ্ধাত্রী’ ধারাবাহিক শেষ হলেই তিনি এই ছবির কাজ করবেন।
অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তের কথা এই চরিত্রের জন্য ভাবা হচ্ছে, এমন চর্চা ছিল টলিপাড়ায়। তবে প্রযোজক জানালেন, এই ছবির শুটিংয়ের পর থেকে মুক্তি পর্যন্ত নতুন বাংলা ধারাবাহিকে কাজ করবেন না অঙ্কিতা, সেরকমই কথা দিয়েছেন। অঙ্কিতার বয়স মহুয়ার চরিত্রের জন্য মানানসই, সেটাও একটা দিক। মোটের উপর মহুয়ার জীবনের পরতে-পরতে মোচড়। এখন বড়পর্দায় চিত্রনাট্যের ঠিক বুনোটে, এই ছবি অন্য মাত্রা পাবে কিনা, তা দেখার অপেক্ষায় সিনেমাপ্রেমীরা।
