Big Breaking: অমিতাভের পরে অনিল; অনুমতি ছাড়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা তাঁর নাম, কণ্ঠ, ছবিতে
Anil Kapoor: মামলা করার সময় অনিল কাপুরের কাউন্সিল আনন্দ উল্লেখ করেন 'ঝাক্কাস' কথাটি। যা অনিলের কণ্ঠেই নতুন মানে খুঁজে পেয়েছে। ১৯৮০ সালে এই শব্দটি জনপ্রিয় করে তুলেছেন অনিলই। নানা ছবিতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন এই 'ঝাক্কাস' কথাটি। বিচারপতি সিং বলেন, "কেবল এই শব্দটিকেই সুরক্ষিত করলে চলবে না..."
গত বছর ২৫ নভেম্বরের কথা। দিল্লি হাইকোর্টের শুনানি – অমিতাভ বচ্চনের নাম, ছবি কিংবা কণ্ঠ তাঁর আইনি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। ঠিক একইভাবে বুধবার অভিনেতা অনিল কাপুরের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল দিল্লি হাইকোর্ট। অমিতাভের পর কোনও দ্বিতীয় বলিউড সুপারস্টারের বিষয়ে এই একই রায় দিল রাজধানীর উচ্চ আদালত। বিগবির মতো অনিল কাপুরকেও ‘পাবলিক প্রপার্টি’ হওয়া থেকে রুখে দিল এই আদালত।
বিচারপতি প্রতিভা সিং এ দিন বলেছেন যে, কোনও বিখ্যাতকে নিয়ে মুক্তকণ্ঠে কিছু বলা যেতে পারে লেখায়, প্যারোডিতে, স্যাটায়ারে কিংবা সমালোচনায়। কিন্তু কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ক্ষতি করে কিছু করা বেআইনি বিষয়। দিল্লির হাইকোর্টের শুনানি, “বাণিজ্যিকভাবে কোনও ব্যক্তির নাম, কণ্ঠ, সংলাপ এবং ছবি (ইমেজ) ব্যবহার করা বেআইনি। এর অনুমতি নেই। এ সবই সেই বিখ্যাত ব্যক্তির রুজিরোজগারের অংশ হতে পারে।”
আদালত এও বলেছেন, “উন্নত প্রযুক্তির যুগে যেকোনও ব্যক্তিই বিখ্যাতদের নাম, কণ্ঠ এবং ছবি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক লাভ করতে পারেন। কৃত্রিম বুদ্ধিও (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এর অংশ। কোনও তারকাই চান না তাঁর ছবি, নাম এবং কণ্ঠ ব্যবহৃত হোক কোনও পর্নগ্রাফির ওয়েবসাইটে।” অনিল কাপুরের ছবি মর্ফ করে ব্যবহার করা হয়েছে অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে। বিচারপতি সিং বলেছেন, “বিষয়টা অনিল কাপুরের জন্য সম্মানের নয়। সম্মানের নয় সেই অভিনেত্রীর জন্যেও।”
মামলা করার সময় অনিল কাপুরের কাউন্সিল আনন্দ উল্লেখ করেন ‘ঝাক্কাস’ কথাটি। যা অনিলের কণ্ঠেই নতুন মানে খুঁজে পেয়েছে। ১৯৮০ সালে এই শব্দটি জনপ্রিয় করে তুলেছেন অনিলই। নানা ছবিতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন এই ‘ঝাক্কাস’ কথাটি। বিচারপতি সিং বলেন, “কেবল এই শব্দটিকেই সুরক্ষিত করলে চলবে না। আরও অনেক বিষয়কে সুরক্ষা দিতে হবে।”