শতাব্দিতে কিছু ছবি এমন তৈরি হয়, যা হিল্লোল তুলে দেয়। অনেক সময় প্রত্যাশার বেড়াও টপকে যায়। ক্রাইম থ্রিলার ‘কাহানি’ সেরকমই একটি ছবি। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা এক নারীর ‘টিট ফর ট্যাট’ গল্প। ফেঁদেছিলেন বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষ। আগের ছবিগুলি পরপর ফ্লপ করার পর ট্রাম্প কার্ড ফেলেছিলেন সুজয়। এক দানেই বাজি জিতেছিলেন। ‘কাহানি’র কাহিনি আলাদা করে বলার কিছুই নেই। তার কারণ এই ছবি দেখেননি এমন মানুষও বোধহয় নেই। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালন। তিনি ছাড়াও ছিলেন ‘বব বিশ্বাস’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, ‘রানিং হট ওয়াটার’ ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো একাধিক উল্লেখযোগ্য নাম। আজ (০৯ মার্চ ২০২২) এই ছবির ১০ বছর পূর্ণ হল। নারী দিবসে নারীর ক্ষমতা সম্পর্কে যে ঝলক কাহানি দেখিয়েছিল, তা ভোলা কঠিন। কলকাতায় দুর্গা পুজোর প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল ‘কাহানি’। তিলোত্তমাও হয়ে উঠেছিল একটি আস্ত চরিত্র।
কলকাতাকে নিয়ে রোম্যান্টিসাইজ় করা পরিচালকদের তালিকা নেহাত কম নয়। শুরুতেই মৃণাল সেনের নাম করতে হয়। তিনি হলেন সকলের রোল মডেল। সত্যজিৎ রায়ও রয়েছেন। বহু দক্ষিণী ছবিও তৈরি হয়েছে কলকাতার রূপে মুগ্ধ হয়ে। বলিউডের অন্যতম শুটিং লোকেশন কলকাতা। ‘কাহানি’র পরিচালক সুজয় ঘোষও ব্যতিক্রম নন।
কিন্তু তাও ‘কাহানি’ আলাদা। ছবিতে কলকাতার অন্য রূপ দেখেছিলেন দর্শক। চিরাচরিত হাওড়া ব্রিজ, ময়দান কিংবা ভিক্টোরিয়া থেকে অনেকটা সরে এসেছিল ‘কাহানি’। দুর্গা পুজোকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল প্রেক্ষাপট। কিন্তু কুমোরটুলি, সিঁদুর খেলা থেকে ছিল অনেকটাই আলাদা। সুজয় দেখিয়েছিলেন কলকাতার মানুষের দুটি নাম – ভাল নাম ও ডাক নাম। বিদ্যা জানতে পারেন পুলিশ অফিসার রানার (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) আসল নাম সাত্যকী। আসলে কলকাতার দ্বৈত সত্ত্বাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন সুজয়।
ছবিতে পুরনো কলকাতা ও নতুন কলকাতা উঠে এসেছিল ভীষণরকম। নতুনের সঙ্গে পুরনোকে মেশালে যা হয়, তারই নিদর্শন ছিল ‘কাহানি’। একদিকে যেমন উঠে এসেছিল দক্ষিণ কলকাতার মোনালিসা গেস্ট হাউজ়, তেমনই মেট্রো স্টেশন… অন্যদিকে পুরনো কলকাতার অলিগলি সেজে উঠেছিল ছবিতে। চারদিকে হলুদ ট্যাক্সিতে ছয়লাপ ছিল। তখনও তো ওলা-উবেরের নামই শোনেনি কেউ। এক প্রজন্মের কাছে নতুন এক কলকাতার দলিল ছিল ‘কাহানি’। যে কলকাতাকে চোখ বুজলেই দেখা যায়। কখনও-সখনও ছোঁয়াও যায়।
আরও পড়ুন: Kapil Sharma Boycott: কপিলকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেটিজ়েনদের, শুনতে হচ্ছে খারাপ কথাও, কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: The Fame Game-Madhuri Dixit: মাধুরীতে মজে বরুণ, ঈশান, সিদ্ধার্থ… মাধুরীও দোলালেন কোমর!
আরও পড়ুন: Woman’s Day 2022-Sreelekha Mitra: তোমার বুকটা মিস করি মা: নারী দিবসে মেয়ে শ্রীলেখার খোলা চিঠি
শতাব্দিতে কিছু ছবি এমন তৈরি হয়, যা হিল্লোল তুলে দেয়। অনেক সময় প্রত্যাশার বেড়াও টপকে যায়। ক্রাইম থ্রিলার ‘কাহানি’ সেরকমই একটি ছবি। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা এক নারীর ‘টিট ফর ট্যাট’ গল্প। ফেঁদেছিলেন বাঙালি পরিচালক সুজয় ঘোষ। আগের ছবিগুলি পরপর ফ্লপ করার পর ট্রাম্প কার্ড ফেলেছিলেন সুজয়। এক দানেই বাজি জিতেছিলেন। ‘কাহানি’র কাহিনি আলাদা করে বলার কিছুই নেই। তার কারণ এই ছবি দেখেননি এমন মানুষও বোধহয় নেই। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বিদ্যা বালন। তিনি ছাড়াও ছিলেন ‘বব বিশ্বাস’ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, ‘রানিং হট ওয়াটার’ ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো একাধিক উল্লেখযোগ্য নাম। আজ (০৯ মার্চ ২০২২) এই ছবির ১০ বছর পূর্ণ হল। নারী দিবসে নারীর ক্ষমতা সম্পর্কে যে ঝলক কাহানি দেখিয়েছিল, তা ভোলা কঠিন। কলকাতায় দুর্গা পুজোর প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল ‘কাহানি’। তিলোত্তমাও হয়ে উঠেছিল একটি আস্ত চরিত্র।
কলকাতাকে নিয়ে রোম্যান্টিসাইজ় করা পরিচালকদের তালিকা নেহাত কম নয়। শুরুতেই মৃণাল সেনের নাম করতে হয়। তিনি হলেন সকলের রোল মডেল। সত্যজিৎ রায়ও রয়েছেন। বহু দক্ষিণী ছবিও তৈরি হয়েছে কলকাতার রূপে মুগ্ধ হয়ে। বলিউডের অন্যতম শুটিং লোকেশন কলকাতা। ‘কাহানি’র পরিচালক সুজয় ঘোষও ব্যতিক্রম নন।
কিন্তু তাও ‘কাহানি’ আলাদা। ছবিতে কলকাতার অন্য রূপ দেখেছিলেন দর্শক। চিরাচরিত হাওড়া ব্রিজ, ময়দান কিংবা ভিক্টোরিয়া থেকে অনেকটা সরে এসেছিল ‘কাহানি’। দুর্গা পুজোকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল প্রেক্ষাপট। কিন্তু কুমোরটুলি, সিঁদুর খেলা থেকে ছিল অনেকটাই আলাদা। সুজয় দেখিয়েছিলেন কলকাতার মানুষের দুটি নাম – ভাল নাম ও ডাক নাম। বিদ্যা জানতে পারেন পুলিশ অফিসার রানার (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) আসল নাম সাত্যকী। আসলে কলকাতার দ্বৈত সত্ত্বাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন সুজয়।
ছবিতে পুরনো কলকাতা ও নতুন কলকাতা উঠে এসেছিল ভীষণরকম। নতুনের সঙ্গে পুরনোকে মেশালে যা হয়, তারই নিদর্শন ছিল ‘কাহানি’। একদিকে যেমন উঠে এসেছিল দক্ষিণ কলকাতার মোনালিসা গেস্ট হাউজ়, তেমনই মেট্রো স্টেশন… অন্যদিকে পুরনো কলকাতার অলিগলি সেজে উঠেছিল ছবিতে। চারদিকে হলুদ ট্যাক্সিতে ছয়লাপ ছিল। তখনও তো ওলা-উবেরের নামই শোনেনি কেউ। এক প্রজন্মের কাছে নতুন এক কলকাতার দলিল ছিল ‘কাহানি’। যে কলকাতাকে চোখ বুজলেই দেখা যায়। কখনও-সখনও ছোঁয়াও যায়।
আরও পড়ুন: Kapil Sharma Boycott: কপিলকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেটিজ়েনদের, শুনতে হচ্ছে খারাপ কথাও, কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: The Fame Game-Madhuri Dixit: মাধুরীতে মজে বরুণ, ঈশান, সিদ্ধার্থ… মাধুরীও দোলালেন কোমর!
আরও পড়ুন: Woman’s Day 2022-Sreelekha Mitra: তোমার বুকটা মিস করি মা: নারী দিবসে মেয়ে শ্রীলেখার খোলা চিঠি