Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Shocking Facts: এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছিলাম, হয়তো মানুষই খুন করে দিতাম: কান্তারা-স্টার ঋষভ

Kantara: এই ছবির শুটিংয়ে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, রাগের বসে তিনি মানুষ খুন করতে পারতেন। ঘটনাটা ঠিক কী ঘটে, তিনি নিজেই জানান।

Shocking Facts: এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছিলাম, হয়তো মানুষই খুন করে দিতাম: কান্তারা-স্টার ঋষভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2022 | 5:42 PM

চলতি বছরে বক্স অফিসে সর্বাধিক ঝড় তুলেছে দক্ষিণী ছবি। আর আর আর হোক বা কেজিএফ ২, কান্তারা দিয়ে সেই সফরের ইতি ২০২২-এ। আর এই কান্তারা ঘোর যেন এখনও কাটছে না, দর্শকমহলে। এই ঋষভ সেট্টির অনবদ্য অভিনয়, পাশাপাশি তাঁর পরিচালনা, প্রতিটা ক্ষেত্রেই দর্শকমনে প্রশংসিত এই ছবি। একাই একপ্রকার ছবি টেনে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। এই ছবি ইতিমধ্যে ৪০০ কোটি টাকা ব্যবসা করে ফেললেও। যদিও ছবি নিয়ে খুব একটা মাতামাতি করতে দেখা যাচ্ছে না ঋষভ শেট্টিকে। আবার বর্তমানে একটা ট্রেন্ড দেখা দিচ্ছে বিটাউনে। দক্ষিণে যে স্টারদের নিয়ে ভাল চর্চা হচ্ছে, ভাল কাজ হচ্ছে, প্যান ইন্ডিয়ায় যাদের ছবি দাপটের সঙ্গে চলছে, তাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে বলিউড থেকে ভুরি ভুরি ছবির অফার ।

কিন্তু ঋষভ শেট্টি তেমনটা করতে নারাজ। রাজি হবেন না বলেও জানান তিনি, কারণ মানুষ তাঁকে চিনেছে জেনেছে বা তার কাজের প্রশংসা করছে একমাত্র তাঁর ছবিতে মাটির গন্ধ বর্তমান বলে। তার চেয়ে ছবি ডাবিং করে, ছবির ভাষা বদল করে তিনি দর্শক দরবারে তাঁর ছবি পৌঁছে দিতে রাজি। সম্পত্তি যখন বারে বারে খবরের শিরোনামে কান্তারা ছবি জায়গা করে নিচ্ছে, তখন নিজেই ছবির প্রসঙ্গে মাঝেমধ্যে মুখ খুলছেন পরিচালক হিসেবে। তবে এই ছবির এক ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা তিনি সম্প্রতি তুলে ধরেছেন, যা নিয়ে অতীতে কখনোই মুখ খোলেননি পরিচালক তথা ছবির অভিনেতা ঋষভ। ছবির শেষ অংশের আগে দেশে যখন দেখা যায় প্রত্যেকে তাঁকে কাঠ-আগুন দিয়ে ধাওয়া করছে, তাঁকে মারার চেষ্টা করছে, রীতিমতো কষ্টকর ছিল সেই অংশের শুটিং।

তাঁর কথায় এই ছবির শুটিংয়ে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, রাগের বসে তিনি মানুষ খুন করতে পারতেন। ঘটনাটা ঠিক কী ঘটে, তিনি নিজেই জানান। ছবির একটি অংশে রীতিমত আগুন-কাঠ দিয়ে তাঁকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছিল, এমন দৃশ্যের শুট চলছিল। যার ফলে শুটিংটি করতে গিয়ে গায়ে আঁচর এবং বেশ কিছু জায়গায় ফোসকাও পড়ে যায় তাঁর। তবে ছবিতে অরিজিনালিটি বজায় রাখার জন্য ঋষভ চাননি বডি-ডাবিং ব্যবহার করতে, বা ভিএফএক্স-এ কাজ করতে। সেই জন্যই তিনি একটা বিষয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, শুটিং-টি নিজেই করবেন তিনি। তবে একটা সময়ের পর তার ধৈর্যের সীমা অতিক্রান্ত করে যায়। এতটাই কষ্ট হচ্ছিল শরীরে তখন যে রীতিমতো রেগে গিয়েছিলেন তিনি, পর্দায় দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো অভিনয়। কিন্তু সেই মুহূর্তে তাঁর অভিব্যক্তি পুরোটাই ছিল বাস্তব। এমনকি শুটিং থেকে ফিরে সেদিন রাতে তিনি ভাল করে ঘুমতেও পারেননি, গায়ে এতটাই অসহ্য যন্ত্রণা হয়েছিল ঋষভের।