Sohini-Ambarish: সোহিনী রাতের বেলায় ক্রিমটাও হাতের কাছে এনে দিয়েছে: অম্বরীশ ভট্টাচার্য

39th Nandikar Festival: সিরিয়ালে দর্শকের অতি আপন এই দুই তারকা নান্দীকারের মঞ্চ মাতালেন মঙ্গলবার। TV9 বাংলার সঙ্গে নাট্যগান নিয়ে খোলামেলা আড্ডা দিলেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য।

Sohini-Ambarish: সোহিনী রাতের বেলায় ক্রিমটাও হাতের কাছে এনে দিয়েছে: অম্বরীশ ভট্টাচার্য
জমজমাটি অনুষ্ঠান...
Follow Us:
| Updated on: Jul 08, 2023 | 7:25 PM

স্নেহা সেনগুপ্ত

নান্দীকার নাট্যদলের ৩৯তম জাতীয় নাট্যমেলা শুরু হয়েছে ২০ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রথম দিনেই নাট্যগানের পরম্পরা নিয়ে দারুণ একটি অনুষ্ঠান হয়েছে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস-এ। এবং সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন দুই প্রতিভাবান অভিনেতা: সোহিনী সেনগুপ্ত এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্য। সোহিনী নান্দীকারের অন্যতম স্তম্ভ। সোহিনী এবং অম্বরীশ সিরিয়ালেরও নিয়মিত মুখ। তাঁরা দু’জনেই ‘খড়কুটো’ সিরিয়ালের জনপ্রিয় ভাই-বোন জুটি পটকা-পুটুপিসি। ‘গুড্ডি’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেন জমিয়ে। সিরিয়ালে দর্শকের অতি আপন এই দুই তারকা নান্দীকারের মঞ্চ মাতালেন মঙ্গলবার। TV9 বাংলার সঙ্গে নাট্যগান নিয়ে খোলামেলা আড্ডা দিলেন অম্বরীশ।

প্রশ্ন: প্রথমদিনেই বিষয়টা জমে গেল তা হলে?

অম্বরীশ: এক্কেবারে, জমে গিয়েছে।

প্রশ্ন: হঠাৎ নাট্য গান নিয়ে অনুষ্ঠান হল কেন?

অম্বরীশ: বিষয়টা হচ্ছে, থিয়েটারের গানের যে বিবর্তন, সেই বিবর্তন নিয়ে কেউ খুব একটা কথা বলেন না। তার কারণ হল, বাংলা গান বলতে আমরা আধুনিক গান বুঝি, সিনেমার গান বুঝি, কিংবা রবীন্দ্রনাথ, অতুলপ্রসাদ, দ্বিজেন্দ্রগীতি বুঝি। থিয়েটারের গানও যে বাংলা গানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেটা আমরা অনেকেই মনে রাখি না। বাংলা থিয়েটারের গানের বয়স কিন্তু অনেক। সিনেমা, আধুনিক গানের অনেক আগে থেকেই থিয়েটারের গানের ব্যবহার চালু হয়েছে। এই গান নিয়ে আমার কাজ শুরু সেই ১৯৯৭ সাল থেকে। অভিনেত্রী কেতকী দত্তর সঙ্গে আমি থিয়েটারের গান নিয়ে কাজ করতাম। শো করতাম। তাঁর মৃত্যুর পরও আমি এই কাজ চালু রেখেছিলাম। তারপর অভিনয় শুরু করি। আর পেরে উঠিনি।

প্রশ্ন: তারপর আবার ফিরলেন কীভাবে?

অম্বরীশ: সোহিনীর সঙ্গে শুটিং করতে গিয়ে আমার এই বিষয়ে কথা হয়। ‘নান্দীকার’-এ অভিনয় করতে-করতে থিয়েটারের বহু গান গেয়েছে সোহিনীও। সেই থেকেই অনুষ্ঠানের ভাবনা আমাদের। বাংলা থিয়েটারের গান কীভাবে বিবর্তিত হতে-হতে সাধারণ রঙ্গালয়, বিশ্বরূপা, রংমহল থেকে চলতে-চলতে নবনাট্য-গণনাট্যের মাধ্যমে গ্রুপ থিয়েটারে এসে তার স্থান পেয়েছে, সেটা দেখাতে চেয়েছি। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু পাল্টেছে নাট্যগীতিতেও। আমি পুরনো দিনের গান পারফর্ম করেছি। অর্থাৎ, গিরিশ ঘোষ, শিশিরকুমার ভাদুড়ি, অমৃতলাল বসুদের সময়কার। সোহিনী গেয়েছে পরবর্তীকালের গান।

প্রশ্ন: সিরিয়ালের দর্শক তো আপনাদের দু’টি ভিন্ন পরিচয়ে ভালবাসা দিয়েছেন: পটকা এবং পুটুপিসি হিসেবে…

অম্বরীশ: আমার মনে হয় না, যাঁরা সিয়িরালের দর্শক, তাঁরা খুব একটা আগ্রহ প্রকাশ করবেন না এই কাজে। এটা আমার ধারণা, এই কাজটা থিয়েটারের মানুষদেরই পছন্দ হবে।

প্রশ্ন: এমন কথা কেন বলছেন?

অম্বরীশ: এর কারণ আমার মনে হয় সিরিয়ালের দর্শক আমাদের কাছ থেকে গান শুনতে চাইবেন না। তাঁরা চাইবেন আমরা দু’টো ডায়ালগ বলি কিংবা দু’টো কমিক করি। সেটাতেও কোনও অসুবিধে নেই… কিন্তু হ্যাঁ, আমাদের পর্দার এই দু’টো নাম উঠতেই পারে। ফেসবুকেও অনেকে বলেছেন, পটকা-পুটুপিসির কথা। সেটায় আমরা কিন্তু বেশ মজা পেয়েছি…

প্রশ্ন: সোহিনী সেনগুপ্তর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীরকম?

অম্বরীশ: খুবই ভাল।

প্রশ্ন: পর্দার ভাই-বোনের মতোই কি?

অম্বরীশ: আমরা একসঙ্গে আমেরিকায় বেড়াতে গিয়েছি, এনএবিসিতে শো করতে গিয়েছি। কেবল বোন কিংবা দিদি নয়, সোহিনী আমাকে মায়ের মতো আগলে রেখেছিল। রাতের বেলায় ক্রিমটাও হাতের কাছে এনে দিয়েছে ও। সময়-সময় খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। এটাই আমাদের সম্পর্ক।

অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস