Mahabharat 2: করোনা ও লকডাউনের বিভীষিকা কাটিয়ে মঞ্চে ফিরছে ‘মহাভারত ২’
নাটকের নির্দেশক ও অভিনেতা অর্ণ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, "আমার নাটকগুলোর ক্ষেত্রে এটা গর্ব করে বলার বিষয়, যে দর্শক আসেন। কিন্তু তবুও আমি বলব, টিকিটের একটা ক্রেজ় তৈরি হত, প্যান্ডেমিকের কারণে সেটা কিছুটা হলেও কমেছে।"

১১ নভেম্বর, বিকেল ৫টায় অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের মঞ্চে ফের আগের মতো দাপিয়ে বেড়াবে ‘নটধা’ প্রত্যেক শিল্পী ও কলাকুশলী। অনেকটা সময় পেরিয়ে ফের পর্দা সরিয়ে বেরিয়ে আসবে চেনা মুখগুলো। ফের মঞ্চস্থ হবে ‘মহাভারত ২’। করোনার দাপট অনেকটাই বেহাল করেছে নাট্যদলকে। তাই নতুন আশায় বুক বেঁধে ফিরছে ‘নটধা’। TV9 বাংলার সঙ্গে কথা বললেন নটধা ও নাটকের পরিচালক-অভিনেতা অর্ণ মুখোপাধ্যায়।

নাটকের দৃশ্য
করোনা ও লকডাউন অনেকটাই ক্ষতি করেছে শিল্পী মনের, অভিনয় প্রতিভার। হারিয়ে যাওয়া অনেককিছু ফিরে পাওয়ার পালা এবার। TV9 বাংলাকে অর্ণ বলেছেন, “দ্বিতীয়বার যখন লকডাউন হল অকুল সাগরে পড়েছিলাম আমরা। থিয়েটারের টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সকলেই। যতখানি সম্ভব আমরা তাঁদের সাহায্য করতে চেষ্টা করেছি। সেসময় থিয়েটারের অনেক সংগঠনই তৈরি হয়েছিল, যাঁরা থিয়েটারের টেকনিশিয়ানদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আমার থিয়েটার হাউজফুল হত। দর্শক আসতেন। সেখানে ব্যাঘাত ঘটেছিল এই লকডাউনে। দর্শক সংকট দেখা দিয়েছিল। এখন দেখছি আবার ৫০ শতাংশ দর্শক আসছে। ১১ তারিখ আমাদের দলের শো আছে। আশা করা যায় দর্শক দেখতে আসবেন। ৫০-৭০ শতাংশ ভরে যাবে। এটাই আশার কথা। কিন্তু মাঝখানে দু’বছর যা ঘটল, তাতে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কলাকুশলীদের যা অবস্থা হয়েছিল, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তার মধ্যে আমাদের খুবই কাছের একজন থিয়েটার কর্মী আত্মহত্যা করেছিলেন। কেউ কেউ বিকল্প পেশাকে বেছে নিয়েছেন। ফলে যেটা আশার কথা, এখন আবার ধীরে ধীরে থিয়েটার পুরনো ছন্দে ফিরছে। মাসে ৩০ দিন না হলেও, ১৫দিন অন্তত অ্যাকাডেমির চত্বরে নাটক পরিবেশিত হচ্ছে।
যুগ যুগ ধরে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে থিয়েটার। কিন্তু কখনও দর্শক সংকটে পড়েনি। করোনা আবহে দর্শক সংকট তৈরি হয়। অর্ণ TV9 বাংলাকে বলেছেন, “সমান্তরাল দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে গেলে সিনেমার ক্ষেত্রে কিন্তু কম দর্শক হয়েছে। ‘গোলন্দাজ’ সিনেমাটি দেখতে নাকি ভালই ভিড় হয়েছিল। আমার দুটি থিয়েটার এই মুহূর্তে চলছে – ‘অথৈ’ এবং ‘মহাভারত ২’। এই মুহূর্তে আমরা অথৈ করতে পারছি না কারণ এই নাটকটির টিকিটের চাহিদা থাকে। যে মুহূর্তে বলা হয় অথৈ হচ্ছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাউজফুল হয়ে যায়। এই নাটকটি নিয়ে উন্মাদনা আছে। একইভাবে ‘মহাভারত ২’ও দর্শক দেখতে এসেছেন। আশা করি এবারও তাঁরা আসবেন। আমার নাটকগুলোর ক্ষেত্রে এটা গর্ব করে বলার বিষয়, যে দর্শক আসেন। কিন্তু তবুও আমি বলব, টিকিটের একটা ক্রেজ় তৈরি হত, প্যান্ডেমিকের কারণে সেটা কিছুটা হলেও কমেছে।”

নাটকের দৃশ্য
প্যান্ডেমিকের সময় অনেক নাট্যদলই বিকল্প উপায়ে নাটক পরিবেশন করেছে। মুক্ত কিংবা নন-প্রসেনিয়াম মঞ্চকেই বেছে নিয়েছে তারা। যদিও সেই পথে একেবারেই হাঁটেননি অর্ণ ও তাঁর দল নটধা। TV9 বাংলাকে তিনি সাফ বলেছেন, “আমার দল একটি স্পেসে নাটক করেছিল। কিন্তু আমার বরাবরই মনে হয়েছে একেকটি থিয়েটার স্পেসের একেকরকম ভাষা থাকে। আমার মঞ্চে থিয়েটার হচ্ছে না বলে আমি স্পেসে চলে যাব, এটাতে আমি বিশ্বাস করি না। কারণ, প্রত্যেক স্পেসেরই নির্দিষ্ট দর্শন আছে। যাঁরা ইন্টিমেট স্পেসে থিয়েটার করেন, তাঁদের স্বতন্ত্র দর্শন আছে। যেমন ডকুমেন্টারি ফিল্ম ও সিনেমা। আমার আজ বাজেট নেই বা উপায় নেই বলে আমি ডকুমেন্টারি করব, এমনটা আমার বিশ্বাস নয়। ফলে সেই কারণেই স্পেসে থিয়েটার করিনি। আমি প্রসেনিয়াম থিয়েটারটাই শিখেছি। প্রসেনিয়ামের অন্ধকার মঞ্চ আজও আমাকে টানে, উদ্বুদ্ধ করে তোলে।”
আরও পড়ুন: Chris Evans: ২০২১ সালের ‘সবথেকে আকর্ষণীয় পুরুষ’-এর তকমা পেতে চলেছেন ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ ক্রিস ইভানস





