Exclusive: নীরবতা ভাঙলেন সোহিনী, কেন বিচ্ছেদ? রণজয়কে নিয়ে চাঁচাছোলা TV9 বাংলায়

Tollywood Gossip: শোভন-সোহিনীর বিয়ের ছবি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আলোচনার অবধি নেই! আর সেই সঙ্গে কাঠগড়ায় অভিনেত্রী! কারণ সহজ, ডিজিটাল দুনিয়ায় তারারা আর আলোকবর্ষ দূরে নন, বরং কমেন্ট বক্সের নাগালে।

Exclusive: নীরবতা ভাঙলেন সোহিনী, কেন বিচ্ছেদ? রণজয়কে নিয়ে চাঁচাছোলা TV9 বাংলায়
Follow Us:
| Updated on: Jul 25, 2024 | 7:35 PM

বিহঙ্গী বিশ্বাস 

কে প্রথম দূরে গিয়েছি…তুমি না আমি? এবং কেন গিয়েছি? খুব সংক্ষেপে বিষয়টা এটাই। অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের বিয়ে হতেই টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালে সোহিনীর প্রাক্তন প্রেমিক বলেছিলেন, “সোহিনী যেখানেই থাকুক, যাঁর সঙ্গেই থাকুক, ও যেন সব সময় সুখী থাকে। এটাই আমার অন্তরের কামনা”। শোভন-সোহিনীর বিয়ের ছবি সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে আলোচনার অবধি নেই! আর সেই সঙ্গে কাঠগড়ায় অভিনেত্রী! কারণ সহজ, ডিজিটাল দুনিয়ায় তারারা আর আলোকবর্ষ দূরে নন, বরং কমেন্ট বক্সের নাগালে। ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয় রণজয় ও সোহিনীর। বিচ্ছেদ নিয়ে অতীতে বারংবার রণজয় মুখ খুললেও সোহিনী এযাবৎ ছিলেন চুপ। তবে তাঁর বিয়ের পর যা সব ‘কদর্য আলোচনা’, রণজয়ের আর এক প্রাক্তন প্রেমিকা অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতার রণজয়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্যে ও তা নিয়ে রণজয়ের প্রতিক্রিয়ায় এই সব শুনে আর নীরব থাকলেন না সোহিনী। টিভিনাইন বাংলা ডিজিটালে কলম ধরলেন…

সোহিনীর বয়ান…

“অনেক সময় অনেক কথা বলা যায় না, বলা উচিৎও নয়। এ যাবৎ কিছু বলতেও চাইনি। কারণ, আমি সব সময় দু’টো কথা বলি–আপনাকে নিয়ে সমালোচনা হোক সেটা আপনি চান নাকি, আপনি নিজে কারও সমালোচনা করতে চান? কেউ উঁচুতে উঠলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবে, সেটা স্বাভাবিক। শুধু ইন্ডাস্ট্রি কেন পাড়াতেও তো হয়! সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যাটা হল যখন রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষেরা ভাল চায় দেখানোর নাম করে লাগাতার সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভাল যদি সত্যি চেয়ে থাকে তবে সে তো আমায় ব্যক্তিগত ভাবে সেই ভাল চাওয়াটা ব্যক্ত করবে। কই সেরকমটা তো তাঁর ক্ষেত্রে দেখিনি? আমার সঙ্গে যার একসময় সম্পর্ক ছিল, যে যদি মন থেকে চায় যে আমি ভাল থাকি তবে আমার বিয়ের পর বা তার আগেও কখনও একটা মেসেজ করে বলেনি তো যে ‘ভাল থাকিস’– এ কেমন ভাল চাওয়া আমি সত্যি জানি না! ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকলে, স্বস্তিকাদি,  শুভশ্রী থেকে শুরু করে সৃজিতদা, সবাই শুভেচ্ছা জানিয়েছে… শুভকামনা এসেছে তাঁদের তরফে, কিন্তু আমার প্রাক্তন, মিডিয়া বাইট দেওয়া ছাড়া আর কিচ্ছু করেছে বলে আমি অন্তত জানি না।

সায়ন্তনীর সঙ্গে রণজয়

২০১৩ সাল থেকে রণজয় বিষ্ণুকে চিনি, তখন ও সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতার প্রেমিক। তাই আজ সায়ন্তনী যা লিখেছে ওকে নিয়ে তা আমি বিশ্বাস করছি। কারণ একটাই, ওদের বহু অশান্তির অতীতেও আমি সাক্ষী, নিজের চোখে দেখেছি, সেগুলো অস্বীকার করি কী করে? আর শুধু সায়ন্তনীই বা কেন? ওই একই ঘটনার ভুক্তভোগী তো আমি নিজেও। প্রিয়াঙ্কা মন্ডলকে চেনেন নিশ্চয়ই? অভিনেত্রী-মডেল। রণজয়ের সঙ্গে দীর্ঘ চার বছর সম্পর্ক ছিল ওর। সায়ন্তনীর পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছে ও। এতগুলো মানুষের বক্তব্য, যারা কিনা একদা রণজয়ের ‘কাছের’ ছিল বলে দাবি করা যেতেই পারে, তাদের সবার বক্তব্য তো আর মিথ্যে হয়ে যেতে পারে না, তাই না?

প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের সঙ্গে রণজয়

যাঁরা ট্রোল করছেন, যাঁরা বলছেন যে আমি রণজয়কে ছেড়েছি শোভনের কারণে, একটা প্রশ্ন রাখি– ধরা যাক আপনার প্রেমিক কিছু করেন না, দু’বছর ধরে তিনি বসে। সে সময় আপনি তাঁর পাশে আছেন এই ভেবে যে নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে। সমবয়সী, মেয়েটি আগে কাজ পেয়েছে, ছেলেটির হয়তো কিছু দিন সময় লাগবে! অবশেষে ছেলেটি চাকরি পেল, আর ঠিক সেই সময়ই কেন ব্রেক-আপ হল? যে মুহূর্তে নতুন জীবন শুরু করার কথা, কী এমন হল যে এত বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকা মেয়েটি এমন সিদ্ধান্ত নিল? কই এই প্রশ্নটা তো আপনারা করছেন না? ২০২০ সালে রণজয়ের কাজ ছিল না, ২০২১-এও ও বসে ছিল, ২০২২-এ ধারাবাহিকের অফারটা ও নেয়। নিজের যোগ্যতাতেই পায়– সব ঠিক পথেই এগোচ্ছিল। আজ বলছি, হয়তো শিগগিরি বিয়েও করতাম আমরা, রণজয় কাজ পেয়েছে, আমার হাতে কাজ রয়েছে, কোনও অসুবিধেই আর নেই… তবু ব্রেক-আপটা কিন্তু হল। আপনাদের বলছি, যে ছেলে ২০২১ পর্যন্ত কিছু করে না, ২০২২-এ সে সিরিয়াল করার পর থেকেই কেন সমস্যা শুরু হল? যে ভাল চায়, সে কেন শুধু সংবাদমাধ্যমের সামনেই ভাল চাওয়াটা সীমাবদ্ধ রাখল?

প্রশ্নগুলো রেখে গেলাম, বিবেচনা আপনাদের। তবে এটুকুই বলতে চাই, আমার জীবনে আমি অনেক খুশি। শোভনের সঙ্গে বছর খানেকের আলাপে বিয়ের সিদ্ধান্ত। সম্পর্ক ভাঙতে কেউই চায় না,পরিস্থিতি বাধ্য করে। আপাতত এইটুকুই। সকলের শুভবুদ্ধি হোক, এর বেশি কিছু চাওয়া নেই।”